নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেশ কয়েকটি ফলের আড়ত গড়ে উঠেছে। এসকল ফল আড়তের মালিকরা ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন প্রকার ফল সৈয়দপুরে নিয়ে আসছেন। কোন কোন ব্যবসায়ীরা বৈধভাবে ভারত থেকেও ফল আমদানি করছেন। আড়তদাররা তাদের আমদানিকৃত ফলগুলো টাটকা ও সতেজ রাখতে বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল ব্যবহার করতো ফলের গায়ে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বেশকিছু ফল আড়তদারের অর্থদন্ড করায় ওইসকল কেমিকেল আর ফলের মধ্যে মেশানো হয় না। বর্তমানে ফল ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানি করা ফলগুলো রাখছেন হিমাগারে। প্রয়োজন মতো হিমাগার থেকে ফল বের করে তা নিজস্ব আড়তে এনে বিক্রি করছেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে। ফলগুলো কাটুনের মধ্যে থাকায় কাটুনের ভেতরে অনেক ফল পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। কোন কোন ফলের কাটুন দূর্গন্ধে ভরে ওঠে। ব্যবসায়ীরা ওই সকল ফল ফেলে না দিয়ে ভ্রাম্যমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে তা কম দামে বিক্রি করছে। আর ওই সকল পঁচা ফল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে তাদের জায়গা মতো নিয়ে গিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে তা বিক্রি করছে বিভিন্ন স্থানে। গতকাল সৈয়দপুর তামান্না সিনেমা হলের সামনে পঁচা ফল নিয়ে এসে পরিস্কার করছে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, এ পঁচা ফলগুলো আমি কম দামে বাদশা ফল ভান্ডার থেকে ক্রয় করেছি। তিনি পঁচা ফলগুলো ফেলে না দিয়ে আমাদের কাছে কম দামে বিক্রি করছে। একজন চিকিৎসক জানান, ওই পঁচা ফল খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। ব্যবসায়ীদের উচিত পঁচা ফলগুলো ধ্বংস করা কিন্তু তারা ধ্বংস না করে লোভের বশে পড়ে কম দামে বিক্রি করছে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে। এ ধরনের কাজ দন্ডনীয় অপরাধ। সাধারণ জনগন ওইসকল ফল আড়তে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার দাবি জানান।