বগুড়ার শেরপুরের টাউন কলোনি এলাকায় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত লাভের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে প্রভাবশালী এক পরিবার। এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল বুধবার রাতে আনছারুল হক জুয়েল(৫২), এসএম ফরিদা হক(৪২), তাহমিনা জামান হিমিকা(৪৮), ফারদিন হক ফাহিম(২৬) ও নিতু হকের (২৪) বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা।
জানা যায়, পৌর শহরের টাউন কলোনি এলাকার আনছারুল হক জুয়েলের দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা জামান হিমিকা ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে। সেই নির্বাচনের খরচ চালাতে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা সহ ১৫-১৬ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পরিবারের অন্য সদস্য প্রথম স্ত্রী এসএম ফরিদা হক, ছেলে ফারদিন হক ফাহিম ও ছেলে বউ নিতু হক মিলে তাদের সাথে প্রতারণা করার উদ্যেশে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা নেয়। দীর্ঘদিন সেই টাকা দিতে তালবাহানা করায় এলাকাতে বেশ কয়েক বার শালিসি বৈঠক হয়। বৈঠকে ১ মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের কথা বলে তারা সবাই মিলে পালিয়ে যায়। পরে জুয়েলের প্রথম স্ত্রী ফরিদা হক গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ সালে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচন করার জন্য শেরপুরের টাউন কলোনি বাড়িতে আসেন। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে শেরপুর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ আহম্মেদ সুমন বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী সুমন বলেন, আনছারুল হক জুয়েলের প্রথম স্ত্রী এসএম ফরিদা হক বাড়িতে আসলে আমরা তার কাছে টাকা চাইতে যাই। কিন্তু সে আমাদের টাকা না দিয়ে বলে যে, জুয়েলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তার আমার ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তোমরা জুয়েলের কাছে যাও। অথচ আমাদের টাকা নিয়ে সে টাউন কলোনি এলাকায় ৫ তলা ভিত দিয়ে বাড়ি করছে।
এ ব্যাপারে আনছারুল হক জুয়েলের প্রথম স্ত্রী এসএম ফরিদা হকের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। অহেতুক আমাকে হয়রানী করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।