গত বছর যখন করোনার ভাইরাসের কারণে ফুটবল দুনিয়া অনিশ্চিয়তার পথে যাচ্ছিল তখন ফিফা তার সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য কোভিড-১৯ নামে রিলিফ ফান্ডের ঘোষণা করেছিল। এক মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই অর্থ এখনো পায়নি বলে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন। গতকাল বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন তারা এখনো কোভিড ফান্ডের টাকা পাননি। এমনকি নারী ফুটবলের জন্য হাফ মিলিয়ন ডলারও পাননি বলে জানিয়েছেন সোহাগ। কোভিড ফান্ড নিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘প্রজেক্ট না পাঠালে ফান্ড দেওয়া হয় না।’ অন্যদিকে গতকাল বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দাবি করেন ফিফা হতে বাফুফের কোনো ফান্ড বন্ধ নেই। সবই চলছে। তিনি বলেন, ‘ গতকাল সকালেও ফিফা হতে ফান্ড পেয়েছি এবং ১৫ দিন আগেও একটি ফান্ড পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘একটি সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে ফান্ড পাচ্ছি না, এসব খবর আসছে। এটা যদি কেউ করে তাহলে নিজের দেশকে নিজেরাই আন্ডারমাইন্ড করছি।’ ফান্ড পাচ্ছে না বাফুফেÑএ কথাটি বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এবং একদিন পরই বলেছেন তারা ফান্ড পাচ্ছেন। একই সংবাদ সম্মেলনে কোভিড পাচ্ছেন না সেটিও বলেছেন তিনি। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন কাল ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তারা ফিফার কাছে একজন কনসালটেন্ট চেয়েছেন। ফিফাও কনসালটেন্ট পাঠাবে বলে জানিয়েছেন কাজী সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ফিফার কিছু কমপ্ল্যায়েন্স থাকে যেটা সব সময় আমরা বুঝিও না। তারা কনসালটেন্ট পাঠালে কাজ করাটাও খুব সহজ হয়ে যাবে।’ ফান্ড নিয়ে ফিফা বলেছে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ক্রয় নীতিমালা, টেন্ডার পদ্ধতি এবং অর্থ ছাড়ের বিষয়ে নিয়ম পায়নি। এসব কথা লিখিত আকারে প্রকাশ করেছেন সালাম মুর্শেদী এবং আবু নাঈম সোহাগ। বাফুফে এসব ব্যাপারে লিখিত নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা কি না ভবিষ্যতে ফিফা ফরোয়ার্ড প্রজেক্ট ফান্ড বাফুফের অনুকূলে ছাড়করণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে, লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছে বাফুফে।