আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের মেয়াদ উত্তীর্ণের পর সমুদয় টাকা ফেরৎ না দিয়ে আত্মসাতের ঘঁনার নিরসন হয়নি। সঞ্চয় টাকা না পাওয়া অসহায় মহিলারা কি করলে টাকা ফেরৎ পাবে এনিয়ে মানবন্ধনের মত কর্মসূচি পালন করেও কোন সদুত্তর বা ফলাফল দেখতে পায়নি।
কুল্যা ইউনিয়নে ভিজিডি ভাতাভোগিদের দেকভাল করার জন্য এনজিও প্রতিনিধি হিসাবে আইডিয়াল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়। প্রতিমাসে ভিজিডি কার্ডধারীদেরকে ৩০ কেজি করে চাউল দেওয়া হয়েছে। দু’ বছরে প্রতি মাসে তাদের থেকে ২০০ টাকা করে সঞ্চয় জমা নেওয়া হয়। এই টাকা ব্যাংক এশিয়া স্থানীয় শাখায় জমা রাখার কথা। প্রত্যেকের নামে ৪৮০০ টাকা সঞ্চয় জমা হওয়ার কথা থাকলেও সঞ্চয় ফেরতের সময় প্রত্যেককে বিভিন্ন অংকের টাকা কম দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বঞ্চিতরা প্রতিবাদ, মানববন্ধন করলেও কোন ফল হয়নি। বাহাদুপুর গ্রামের সুরাত আলী সরদারের পুত্র রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২৩ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের করিম সরদারের ছেলে আইডিয়াল প্রতিনিধি রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন। যেখানে ৩৩০ জন ভাতাভোগির নিকট থেকে তার মত করে সঞ্চয় আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী জানান, রুবেল আইডিয়াল প্রতিনিধি। টাকা আদায় করে ব্যাংক এশিয়ায় টাকা জমা করেন। কিন্তু গোপনে সে টাকা আত্মসাৎ করে। যা ২৪ মাস শেষ হলে আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। আমি তাকে শোকজ করি। সে জবাব না দিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। আইডিয়াল প্রকল্পের ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ও দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।