আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার সীমান্ত বেষ্টিত হওয়ায় নানাবিধ কারণে খুবই ব্যস্ত ও গুরুত্ববহ ইউনিয়ন হিসাবে পরিচিত। সাথে সাথে দেশের অন্যতম পীর কেবলার দরবার খানকায়ে আজিজীয়ার অবস্থান এই ইউনিয়নে হওয়ায় বড়বড় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রসন্ন দৃষ্টি ও আশীর্বাদ বরাবর ছিল এই ইউনিয়নের উপর। যে কারণে ইউনিয়নের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় স্বল্প সময়ে নিজের সবটুকু সদিচ্ছা দিয়ে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী।
কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের অকুষ্ঠ সমর্থন নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার জনগণ ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে এসেছি। ১৮ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়ে রাস্তা উন্নয়ন কাজ করেছি, ১০টি মসজিদ, ৬টি মন্দির সংস্কার কাজ করেছি। ইউনিয়নের অধিকাংশ কাঁচা রস্তা সোলিং করেছি। ১ ও ৭নং ওয়ার্ডে শতভাগ রাস্তা সোলিং করেছি। কুল্যাং ১টি, গুনাকরকাটি ১টি, আগরদাড়ি ২টি হামকুড়া ১টি রাস্তায় পিচের কাজ হয়েছে বা চলছে। হাজীরহাটে বাজার ভিত্তিক মসজিদসহ ২টি নতুন মসজিদ (কাজ) করেছি। ৩টি হাই স্কুল সংস্কার করেছি। বাহাদুরপুর গণ করস্থান নিজ উদ্যোগে কাজ করেছি। ৬টি শ্মশান সংস্কার করেছি। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর ও দুর্নীতি মুক্ত করতে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা তালিকা মাইকিং করে অন লাইনে আবেদন নিয়েছি। বয়স্ক ও বিধবা ভাতা শতভাগ অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। ১৯০০ জনকে ১০ টাকা কেজি কার্ডের চাউল দেওয়া হচ্ছে। ৩৩০ জনকে ভিজিডি ও ৫০০০ জনকে ভিজিএফ এর আওতায় আনা হয়েছে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমসহ দু’ শতাধিক আবেদন ফয়সালা করা হয়েছে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দীর্ঘকালের তথা দীর্ঘদিন বিচার বঞ্চিত (১০ থেকে ৫০ বছর পুরনো) অর্ধ শতাধিক দ্বন্দ্ব মিমাংসা করতে সক্ষম হয়েছি। ১৭ স্থানে স্ট্রিট লাইন স্থাপন করেছি। ডিজিটাল সেন্টারের সেবা মূলক কার্যক্রমে কুল্যা ইউনিয়ন উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ৬০টি পানির ট্যাংকি, ২০টি টিউবওয়েল স্থাপন ও ১৫টি সিঙ্গার মেশিন দিয়েছি। কুল্যার ইউনিয়নের বড় দুর্নাম ডলার চক্র নির্মূল, চাঁদাবাজী, চুরি ডাকাতি, মদগাঁজা দূর করতে সক্ষম হয়েছি। লিগ্যাল এইডসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাল্য বিবাহবন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। ৭নং ওয়ার্ডকে ১০০% স্যানিটেশন ব্যবস্থা, শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বুলবুল, আম্ফান ও করোনার কবলে পড়ে কাজে স্থবিরতা থাকলেও দিবারাত্র নিরলসভাবে কাজ করেছি, সরকারি সহায়তা যথাযথ প্রদানের সাথে সাথে ব্যক্তিগতসহায়তা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছুটেছি। স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ বিতরণ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে সর্বদা তৎপর থেকেছি। কিন্তু ভুল তথ্য সরবরাহ, অপপ্রচার ছড়িয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট ও কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও আইন জটিলতার চেষ্টা ছিল অধিকাংশ সময় ধরে। কিন্তু দৃঢ়তার সাথে কাজের ঘাটতি ঘটাতে দেয়নি। আমি আশা করি সচেতন ও সাধারণ জনগণ আমার প্রতি স্বচ্ছ ধারনা নিয়ে আমার পাশে থাকবে। আমি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারলে ইউনিয়নের ১০০% রাস্তা পাকা করা হবে। ইতোমধ্যে ৭১টি রাস্তা আইডি করার আবেদন করেছি। ইউপি কমপ্লেক্স আধুনিক করে নাগরিক সুযোগ সুবিধা সহজ করতে চাই। অসহায় শিক্ষার্থীদের সকাল সন্ধ্যা শিক্ষাদান, ওয়ার্ডে একটি করে মাক্তব প্রতিষ্ঠা করা, ১০০% স্যানিটেশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানি নিশ্চিত করা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সর্বোপরি জনগণের পাশে থেকে ইউনিয়নকে গণমূখী ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই।