গাজীপুরের টঙ্গী গাজীপুরা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ঝুট ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের নাম কাজী আবদুল হালিম (৪৫)। তিনি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার চাপাচিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে। হালিম তার ভগ্নিপতি আবদুল জলিলের সাথে ঝুটের ব্যবসা করতেন। এ ঘটনায় বাড়ির কেয়ারটেকার লিটন ও শরিফকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের বোন বিলকিছ বেগম জানান, স্বামী সন্তান নিয়ে গাজীপুরা এলাকার সফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছিলেন তারা। গত ২ এপ্রিল শুক্রবার তার স্বামী আবদুল জলিল মারা যান। পরে তার ছোট ভাই কাজী আবদুল হালিমকে খবর দিলে সে বিলকিছের বাসায় এসে ভগ্নিপতির দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেন এবং ওই বাসায় কয়েকদিন থেকে যান। একপর্যায়ে গত বুধবার (৭এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে হালিম তার বোনকে বলে বাইরে বের হন। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে শনিবার দুপুরে উৎকট পঁচা দুর্গন্ধ বের হলে বাসার চারদিকে খোঁজাখুজি করে লিফট খুলে আন্ডার গ্রাউন্ডে হালিমের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। পরে খবর দিলে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাড়ির মালিক সফিকুল ইসলাম বলেন, লিফটের আন্ডার গ্রাউন্ডে সচরাচর কেউ যেতে পারে না। কিন্তু উনি কিভাবে গেলেন তা মাথায় আসছে না। ঘটনাটি স্থানীয় কাউন্সিলর আবু বক্কর সিদ্দিককে জানিয়েছি। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নতদন্ত রিপোর্ট এলেই বলা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।