জননেত্রী সৈনিকলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন- হেফাজতে ইসলামের যুগ্ন মহাসচিব মাহমুনুল হক কথিত স্ত্রী নিয়ে সোনারগাঁও একটি রির্সোটে ধরা পড়ার ঘটনাটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। হেফাজত ওই ঘটনায় ফায়দা হাসিল করতে চায়। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দেশ-বিদেশে চলছে এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক। সুতরাং ওই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দেশবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মিডিয়ার মাধ্যমে অবহিত করার জন্য আমি বিনীত অনুরোধ করছি। এতে ঘোলা পানিতে কাউকে মাছ শিকার করতে দেওয়া উচিত নয়। রোববার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান তিনি। এতে বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো বলেন, হেফাজত সম্প্রতি সারাদেশে নৈরাজ্য চালানোর পাঁয়তারা করছে। আগেও অনেক জায়গায় তান্ডব চালিয়েছে। তাদেরকে আমরা সাংগঠনিকভাবে প্রতিহত করবো। জনগণ আমাদের সাথে আছে। এই দেশে সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্য চালিয়ে অতীতে কেউ রক্ষা পায়নি। সামনেও পাবেনা।
চট্টগ্রাম সিটি রিক্সা শ্রমিকলীগের (রেজি:২১০৩) সভাপতি মো. সেলিম বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় বিষয়ে আরো বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণ মুলের সবাইকে দলীয় আইডি কার্ড দেয়া হোক। তাহলে দলীয় অবস্থান আরো চাঙ্গা হবে। এই কাজটি করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। প্রয়োজনে এই কাজটি অনলাইনেও করা যেতে পারে। আমরা বহুদিন দলের সাথে জড়িত। তৃণমুলে কাজ করতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেক সমস্যার কথা অবগত আছি। তৃণমুল এসব কর্মীদের কেন্দ্রীয় নেতারা এখন আর খবর নেয়না। করোনার এই সময়ে দলীয় নেতারা আমাদেও পাশে নেই। দরিদ্র মানুষদের হাহাকার চলছে। এজন্য আমার অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- সারা দেশে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীকে দলীয় আইডি কার্ড প্রদান করলে বুঝা যাবে দেশে কত কোটি দলীয় নেতা কর্মী রয়েছেন। মোট জন সংখ্যার শতকরা কতজন আওয়ামী লীগ করেন। এই কাজটি সারা দেশের তৃণমুলে শুরু করতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপর্যুক্ত বিষয়ে কোন পরামর্শ চাইলে আমার মোবাইল নাম্বারে (০১৫৫৩-১৩৪৬৬৭) যোগাযোগ করতে পারবেন। যারা গরীব-দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদেরকে আমি পছন্দ করি। কারণ, আমি নিজে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছিনা। অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করছি।