ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ কোলাবাজার মল্লিাকপুর সড়কের কামালহাট নামকস্থানে সড়কের কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে বিভিন্ন যানবাহন ও জনসাধারণ। পাকা সড়ক মেরামতের সময় পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি কালভার্ট সংস্কার না করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করে ও সাধারন মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক। প্রায় ২ মাস এ কালভাট টি ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসী ভাংগা স্থানে একটি লাল কাপড় উঠিয়ে রেখেছে নিশানা হিসাবে। এলাকার অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে এ সড়ক দিয়ে, কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি আমলে আসে নাই। কোলাবাজার,কালারবাজার,মঙ্গলপোতার বাজার থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক মালামাল ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ইটভাটার ট্রাকটরে ইট, মাটি ও ট্রাকে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে এই ভাংগা কালভাটের উপর দিয়ে চলাচল করছে মারাতœক ঝুকি নিয়ে। সড়কটি অতি ব্যাস্ততম সড়ক বরে বিভিন্ন ধরনের যানচলাচল করে থাকে। গ্রাম এলাকা হলে ও যানবাহন চলাচলে কমতি নাই, সর্বসময় ব্যাস্থতম থাকে সড়কটি। সামনে ইউপি নির্বাচন তার আগে এটা মেরামত হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে নানা শংসয়।
কিন্তু মেরামত না করায় বর্তমানে ব্যপক জনদুর্ভোগে রয়েছে আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ। এ ছাড়া বর্ষাকালে পার্শ্ববর্তী বিলের পানি প্রবাহে বাধার হতে পারে।। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়ায় সড়কটির ভাঙ্গা অংশে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সড়কটিতে কালভার্টটি ভেঙে নিচে পড়ে রয়েছে। একটি লাঠির মাথায় লাল কাপড় বেঁধে স্থানীয়রা সতর্ক সংকেত দিয়েছেন। কালভার্ট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় ২ মাস পূর্বে একটি বালুবোঝাই একটি ট্রাক সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় কালভার্টটি ভেঙে পড়ে। তবে ছোট ছোট গাড়িগুলো একপাশ দিয়ে চলাচল করছে। যেকোন সময় ওই সব অংশও ভেঙে পড়তে পারে। এছাড়াও রাতের আঁধারে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভাঙ্গার দু,মাস পার হয়ে গেলেও মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এব্যাপারে দৌলতপুর গ্রামের কাজী এমদাদ জানান, এ এলাকা দিয়ে বিনোতপুর,কোলাবাজার,খেদাপাড়া,খড়কিডাঙ্গা,মথুরাপুর,বেথুলি,মল্লিকপুর,রাকড়া, দৌলতপুরসহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক।
আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মাঠ ও বিলের পানি প্রবাহের একমাত্র কালভার্ট। এছাড়াও কালীগঞ্জ শহরে যাতায়াত রয়েছে এই সড়কে। মাঠের ফসলাদিও বাজারজাত করনে সড়কটি ব্যবহার করা হয়।