জামালপুরে বিএডিসির চলতি অর্থবছরে আলুবীজের অসামঞ্জস্য কম মূল্যের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধ করেছে চুক্তিবদ্ধ চাষীরা। রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষীরা মূল্যবৃদ্ধির দাবী জানান। পরে প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন। মানব বন্ধনে বক্তব্য রারেখ,শফিকুল ইসলাম,রুহুল আমীন,হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আলুবীজ উৎপাদনে চুক্তিবদ্ধ চাষি লিখিত বক্তবে উল্লেখ করেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিএডিসি থেকে প্রতি একরে ৭২০ কেজি আলুবীজ, সার ও বালাইনাশক বাবদ ৪৩ হাজার ৮৩০টাকা ব্যাংক ঋণ দেওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ বছরে চাষীদের কাছ থেকে প্রতিকেজি আলু এ গ্রেড ২০ টাকা ও বি গ্রেড ১৯ টাকা দরে আলুবীজ কেনা হয়েছে। পরে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ব্যাংক ঋণ বেড়ে প্রতি একরে ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিকেজি আলুবীজের দাম ধরা হয় এ গ্রেডে ২৩ টাকা এবং বি গ্রেডে ২২ টাকা কেজি।
চলতি অর্থ বছরে বিএডিসি থেকে প্রতি একরে ১২০০ কেজি আলু বীজ, সার ও বালাইনাশক বাবদ ব্যাংক ঋণ দেওয়া হয় ৬৮ হাজার ৯শ টাকা। অথচ চলতি অর্থ বছরে বিএডিসির দেওয়া আলুবীজ ও প্রত্যায়িত আলুবীজের মান খারাপ থাকায় ৩০ শতাংশ আলুগাছ মরে যায়। ফলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম আলুবীজ মাঠ থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তাই এবার প্রতিকেজি আলু উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ টাকা। কিন্তু ৫ এপ্রিল স্থানীয় বিএডিসি কর্তৃপক্ষ প্রতিকেজি আলুবীজ নির্ধারণ করেছেন মাত্র এ গ্রেডের ১৯ টাকা এবং বি গ্রেডের ১৬ টাকা। এতে করে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে চাষীরা।
তাই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে চাষীদের দাবী, প্রতিকেজি আলুবীজের মূল্য ৩৭.৫০ টাকা নির্ধারণে দাবি জানিয়েছেন।