ছায়ানাটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হলো একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী মিতা হককে। বেলা ১১টার দিকে মিতা হকের মরদেহ নেওয়া হয় ছায়ানট প্রাঙ্গণে। সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছায় এ সঙ্গীতশিল্পীকে শেষ বিদায় জানান সবাই। ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতিও। সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দলও গঠন করেন প্রয়াত এই সঙ্গীতশিল্পী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকালে মারা যান প্রখ্যাত এই রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী। গত পাঁচ বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন তিনি। নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হতো তাকে। তবে সুস্থভাবেই জীবনযাপন করছিলেন তিনি। চারদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে শনিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই রোববার সকালে মারা যান তিনি। মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। ২০২০ সালে মিতা হক একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এ ছাড়া কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়। সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। মেয়ে ফারহীন খান জয়ীতাও একজন রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী।