করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এক সপ্তাহের জন্য সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের পরও মানুষ তা মানতে অনীহা দেখিয়েছে। আগামী বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কঠোর লকডাউনের খবরে চাটমোহরের মানুষ বেরিয়ে পড়ে হাট-বাজার,রাস্তা-ঘাট,শপিংমলে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চাটমোহর পৌর শহরের পা ফেলার জায়গা ছিলনা। সবখানেই ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতিটি দোকানে গাদাগাদি করে অবস্থান করেছে মানুষ। এদিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর চড়ক বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চড়ক পূজা ও মহাদেব পূজার সিদ্ধান্ত হলেও,তা ছিল অনুপস্থিত। বিভিন্ন এলাকা থেকে সকাল থেকেই চড়ক বাড়িতে আসে অসংখ্য মানুষ। ছিলনা সামাজিক দুরত্ব।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে পৌর শহরের প্রধান সড়কে ছিল দীর্ঘক্ষণের যানজট। অসংখ্য অটোভ্যান,সিএনজি,মোটরসাইকেল ,অটো বোরাকের দখলে ছিল সড়ক। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও শত শত মানুষ বেরিয়ে পড়ে বাজারে,রাস্তায়। উপচেপড়া ভিড় আর কেনাকাটা দেখে বোঝার কোন উপায় ছিলনা করোনাকালীন সময় চলছে। অনেকের মুখে কোন মাস্ক ছিলনা। মানুষের এই অসচেতনতাই করোনার বিস্তার ঘটছে। করোনার ঝুঁকি নিয়েই মানুষ ছুটছেন এ মার্কেট থেকে ও মার্কেটে। শহরের ব্যস্ত এলাকা থেকে পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন অজুহাতে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ। অনেককেই ঘুরতে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়াই।
একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত আবুল কালাম বলেন,লকডাউনের কারণে কাল (বুধবার) থেকে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই কেনাকাটা সেরে নিচ্ছি। পরিবারের সবাই এসেছে। কী করবো বলেন।
এ বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বলেন,অসচেতন মানুষের অজুহাতের শেষ নেই। করোনার চেয়ে এসকল মানুষের কাছে কেনাকাটাই যেন গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে।
প্রধান শিক্ষক ত্পাস রঞ্জন তলাপাত্র বললেন,নানা অজুহাতে স্বাস্থ্যবিধি না মানাই আমাদের জন্য উদ্বেগের। সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সৈকত ইসলাম জানান,বুধবার থেকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সবাইকে। কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।