একজন দক্ষ চিকিৎসক হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো। গরীব ও দুস্থ রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিবো। চেষ্টা করবো অসহায় মানুষের পাশে থাকার। বাবা ও মা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছে। তাদের কষ্টের মূল্য দিতে চাই। কথাগুলো বলছিল এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া কালীগঞ্জ পৌর এলাকার আড়পাড়া গ্রামের আবদুল মোমিনের মেয়ে শামছুন্নাহার শেফা। কিন্তু সেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে শেফার মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাবা ও মা। ভর্তির টাকা জোগাড় করতে না পারলে সে এবার মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে না।
শামছুন্নাহার শেফা জানায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তার স্থান ১৮৮২তম। ২০১৮ সালে কালীগঞ্জ সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০২০ সালে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করায় অনেক প্রাইভেট পড়তে হয়েছে। স্যারেরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে মানিক স্যার অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। সে অসুস্থ মানিক স্যারের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। সে জানায়, মা-বাবার সামর্থ্য নেই। কিন্তু চেষ্টা করে অসহায় মানুষের পাশে থাকার। আমিও চেষ্টা করবো মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। কিভাবে মেডিকেলে ভর্তি হবে এ চিন্তায় সে অসহায়ের অবস্থায় পড়েছে। পিতা মাতার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না এ টাকা জোগাড় করতে।
শেফার বাবা আবদুল মোমিন জানান, তিনি দর্জির কাজ করেন। সেখান থেকে যা আয় হয় সেটা দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা ও পরিবারের সকল খরচ বহন করি। মেয়েকে ভর্তির জন্য বেশ টাকার প্রয়োজন। এখন এই টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি মেয়ের ভর্তির জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শেফাকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৪-৬৩৯৯০৬ (শেফার পিতা) এই নম্বরে।