যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামাতা এইচ এম আমির হোসেন কর্তৃক নিজ পুত্র কেশবপুর পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকী বিপুলকে অস্ত্রবাজ, দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে মিথ্যাচার করায় মঙ্গলবার সকালে জামায়ের বিরুদ্ধে মনববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করেছেন শাশুড়ী শাহিদা সিদ্দিকী। কেশবপুর ত্রিমোহিনী সড়কে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম আরাফাত হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জামায়ের বিরুদ্ধে স্বারকলিপি প্রদান করেন।
স্বারকলিপিতে কেশবপুর পৌর শহরের মৃত শেখ আবু বক্কার সিদ্দিকীর স্ত্রী শাহিদা সিদ্দিকী উল্লেখ করেন, তার ছেলে শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বের পাশাপাশি কেশবপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড থেকে পর-পর ৩ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সু-পরিচিতি লাভ করেছেন। রাজনৈতিক ও পারিবারিক জমি-জমা নিয়ে ছেলে বিপুলের সাথে জামাই কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ. এম আমীর হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তার জের ধরে গত ৩১-০৭-২০১৫ তারিখ রাত ৯টার দিকে আমীর হোসেনের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা ছেলে বিপুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে হামলা করে তান্ডবলীলা চালায়। ভাংচুর করে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বাড়ীর দামী আসবাবপাত্র। এসময়তার পুত্র বিপুল মসজিদে তরাবির নামাজ পড়তে যাওয়ায় প্রানে রক্ষা পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে এই আমীর হোসেন ফের তার ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনার কথা আঁচ করতে পেরে বিপুল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কেশবপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। যার নং-৪৬২।তাং-১১-০৪-২০১৬ ইং। দিন দিন তার ছেলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়কে ইস্যু করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে এবাদত সিদ্দিীকি বিপুলকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন এবং তাকে ফাঁসাতে তার মেয়েদের সাথে নিয়ে জামাই আমীর হোসেন একের পর এক অহেতুক অস্ত্রবাজ, দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ভুয়া, বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ দাখিলসহ সাংবাদিক সম্মেলন করে চলেছে। সংবাদ সম্মেলনে যে জমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকৃত পক্ষে ৭৪ নং বালিয়াডাঙ্গা মৌজার ৪৩৩, ৪৩৪,৪৩৫, ৪৫০নং দাগে ৩০ শতক ঐ জমি তার ছেলের (বিপুল) ক্রয়কৃত সম্পত্তি। ওই জমির দলিল নং-১৭৮৬,তারিখ-২৭-০৪-২০২১। তাতে প্রতিপক্ষদের কোন অংশ না থাকলেও তারা ওই জমি নিজেদের দাবি করে আমীর হোসেনের নির্দেশে তার ছেলে আসিব আমীর অর্পন,তার আপন ভাগ্নে তরিকুল ইসলাম, ফরিদ উদ্দীন ও ফারুক হোসেন, তার ভাইপো এইচ.এম রাসেলসহ একদল সন্ত্রাসী জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের নামে যশোর আদালতে একটি মামলা করেছে। যার নং-১৫৩/২১। বিজ্ঞ আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সেটিকে বৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই জমি দখলে লিপ্ত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি স্বারকলিপির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম আরাফাত হোসেন বলেন, প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপিটি পেয়েই সেটি যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরন করা হয়েছে।