বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যন্ত্রপাতিসহ নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ফের বিপাকে পরেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাজার বেডের এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ক্লিনিক্যালসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক টন বর্জ্য হলেও তা অপসারণ করাটা দুরহ হয়ে পরেছে। ফলে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বিভিন্নস্থানে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরে রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার আগে সিটি কর্পোরেশন হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ করতো, তবে করোনার প্রকোপ বাড়ার পর থেকে সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর থেকে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বিভিন্নস্থানে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে হাসপাতালের নিজস্ব জনবল দিয়ে সেখানে বর্জ্য ফেলা হতো। তবে সেই গর্তের জায়গারও বর্তমানে সংকট দেখা দেয়ায় বর্জ্য ফেলার কোন জায়গা নেই।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে চারটন বর্জ্য হয়। আগে এই বর্জ্য সিটি কর্পোরেশন নিলেও করোনা শুরুর পর তা না নেওয়ায় বিপাকে পরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার ওপর জনবল সংকটের কারণে হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করাটাও কঠিন হয়ে পরেছে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, পাঁচশ’ শয্যা ক্যাপাসিটির ভবনেই চলছে হাজার শয্যার কাজ। একইসাথে নতুন ভবনে যোগ হয়েছে করোনা ওয়ার্ডের আরও দেড় শতাধিক শয্যা। কাগজে কলমে শয্যা বৃদ্ধির চেয়ে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। অথচ গোটা হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে সেই পাঁচশ’ শয্যার জনবল দিয়েই। আবার অসুস্থ ও অবসরজনিতসহ নানান কারণে সেখান থেকেও জনবল হ্রাস পাচ্ছে। ফলে এমএলএসএস, ঝাড়-দারসহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর তীব্র সংকট রয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি লিখে বর্জ্য অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সাথে মেডিক্যালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে মন্ত্রণালয়েও চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব ব্যবস্থায় মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আবদুর রাজ্জাক বলেন, মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটা ইনসিনারেটর মেশিন চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মেশিন সরবরাহ করা হলে হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।