মণিরামপুরের পল্লীতে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক ভোগদখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাশিমনগর ইউপির সুন্দ্রা গ্রামে। এ ঘটনার পূর্বে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক গংদের সাথে প্রতিপক্ষ ফজর আলী গংদের মধ্যে ৩৩৯ নং দাগে ৪৩ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রাজ্জাক পক্ষের দাবী তাদের নামে উল্লিখিত জমির মাঠ ও ফাইনাল রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ ফজর আলী গংরা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবী, ৬২ রেকর্ড অনুযায়ী ওই জমি তারা শরিকআনা সুত্রে মালিক। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা-মকর্দ্দমা চলে আসছে।
গত বুধবার রাতে ফজর আলী গংরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে ওই বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে পাঁকা বসতঘর তৈরির কাজ শুরু করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্জাক গংরা তাদের জমিতে ঘর তৈরির কাজে বাধা দিলে তাদের উপর ফজর আলী গংরা হামলা চালায় রাজ্জাক গংদের। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়। এতে কাশিমনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রাজ্জাকসহ কমপক্ষে ৭জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৫জনকে মণিরামপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক (৫০), তার ভাই মারুফ হোসেন (৩৫), চাচাতো ভাই খবির উদ্দিন (২২) ও প্রতিপক্ষের ফজর আলী (৬০), তার ছেলে নাজিম (৩২)। অজ্ঞাতনামা অপর দুইজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এ এস আই আবদুর রহমান জানান, অভিযোগের পর উভয় পক্ষের লোকজনদের নোটিশের মাধ্যমে ডেকে এনে কাগজপত্র দেখা হয়েছে। তাতে ফজর আলী গংদের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই, তারপরও তারা জোর পূর্বক ওই জমি দখলের চেষ্ট করছেন।
মণিরামপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, শুনেছি বৃহস্পতিবার সকালে চাচা-ভাতিজার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মারামারি হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় থানায় কোন পক্ষের অভিযোগ বা এজাহার দাখিল হয়নি। এজাহার দিলেই মামলা রেকর্ড করা হবে।