রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের চরবাগমারা গ্রামে এক নারীকে ঝাঁড় ফুকের কথা বলে কবিরাজ ও এক সহযোগির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুইজন শুক্রবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কবিরাজের নাম আবদুল মান্নান গায়েন ওরফে মান্নান কবিরাজ (৫২) এবং তাঁর সহযোগি ফারুক বিশ^াস (৩৫)। মান্নানের বাড়ি রায়নগর ও ফারুকের বাড়ি চরবাগমারা গ্রামে। ধর্ষণের অভিযোগে ভূক্তভোগি নারী কবিরাজসহ দুইজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ী সদর থানা সূত্রে জানা যায়, ভূক্তভোগী ওই নারীর শারীরিক সমস্যায় ভূগছিলেন। পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান। কিন্তু সুস্থ হননি। ওই নারীর মা বিষয়টি মান্নান কবিরাজকে জানায়। কবিরাজ তাদের তেমাথায় (তিন রাস্তার মিলনস্থল) নিয়ে ঝাঁড়-ফুক করলে সমস্যা দূর হবে বলে আশ^স্ত করে। এরপর মান্নান ও ফারুক মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে চরবাগমারা মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারীকে দুইজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই নারী বৃহস্পতিবার বিকেল বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযান চালায় পুলিশ। সন্ধ্যায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারীর ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে দুইজনকে রাজবাড়ীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমন হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদের (বিকেল ৫.০৭ মিনিট) কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।