বকশীগঞ্জে অন্যের জমিতে থাকা শিমুল গাছ থেকে জোড়পূর্বক তুলা পারতে গেলে বাধাঁ দেয়ায় গাছের মালিকসহ ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে দুবৃত্তরা। গুরুতর আহতরা বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অপরদিকে বিবাদীগন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের জানকিপুর নতুন বাশঁকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের জানকিপুর নতুন বাশঁকান্দা গ্রামের খোরশেদ আলমের জমিতে থাকা শিমুল তুলা গাছ থেকে জোড়পূর্বক তুলা পারতে যায় একই এলাকার প্রভাশালী শহিদুল্লাহ,লুৎফর রহমান,শফিউল্লাহ,শরিফ,সাজুনী বেগম ও সুহেদা বেগম। এমন সময় খোরশেদ আলমের স্ত্রী সেলিনা বেগম তাদেরকে তুলা পারতে বাধাঁ দেয়। বাধাঁ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সেলিনা বেগমকে বেদম প্রহার করে। একপর্যায়ে সেলিনা বেগমের স্বামী খোরশেদ আলম,দেবর আবু সাইদ,আবু সাইদের স্ত্রী আয়শা বেগম সেলিনা বেগমকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। এছাড়াও তাদের বসত বাড়িতে হামলা চালায় শহিদুল্লাহ গংরা। এ সময় শ্লীলতাহানী ও ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। আসামীগন সেলিনা বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আসামীদের কবল হইতে তাদের উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে এই ঘটনায় গত ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সেলিনা বেগম বাদী বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭ তারিখ ১৬/০৪/২০২১।
সেলিনা বেগমের স্বামী খোরশেদ আলম বলেন,প্রভাশালীদের ভয়ে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।