কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৪ ও কুলিয়ারচরে ১ জন সহ পৃথক ঘটনায় ২৪ ঘন্টায় ৫ জন খুন হয়েছে। আহত হয়েছে ১৭ জন। এ ছাড়া ১০/১২টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতরা হলো ফারুক খানঁ, লিটন মিয়া, বিভাটেক চালক শরীফ মিয়া (২৫), মগবুল মিয়া (৪০) ও পাভেল (২২)।
জানাযায় শনিবার সকালে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ গাজিরটেক এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা বস্তাবন্দি ১ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ সনাক্ত করে জানায় নিহতের নাম শরীফ মিয়া। সে শহরের ঘোড়াকান্দায় একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। গত ২ দিন আগে সে বিভাটেক নিয়ে কাজে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। শনিবার সকালে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসিরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
এছাড়া উপজেলার আগানগরের লুন্দিয়া ও খলাপাড়ায় জমির ধান চুড়াকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের ৩ ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে খলাপাড়া গ্রামের মোতালিব মিয়ার পুত্র মকবুল ও লুন্দিয়া গ্রামের আঃ খালেকের পুত্র পাভেল (২২) নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ২০ জন। আহতদেও মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও কুলিয়ারচরের লালপুরে আম কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় লিটন মিয়া ( ৪৫) নামে এক যুবক নিহত ও উভয় পক্ষের ১০/১২টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত লিটন মিয়া ওই গ্রামের আব্বাছ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।পুলিশ ও এলাকাবাসিরা জানায় শুক্রবার সন্ধ্যায় গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে লালপুর গ্রামের নিহত লিটন মিয়ার বাড়ির ছোট বাচ্চাদের সাথে পার্শ্ববর্তী মিরারচর গ্রামের মেরসি মিয়ার বাড়ির বাচ্চাদের ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে আজ ভোরে ২ পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় লিটন মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০/১২টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়।
তাছাড়া শুক্রবার রাত সোয়া নয়টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তের টোল প্লাজার অদূরে মন্দিরের কাছে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফারুক খান নামে ১ জন নিহত হয়েছে। সে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের খা বাড়ির সালাম খা’র ছেলে।
এলাকাবাসি ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, নিহত ফারুক সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আশুগঞ্জে কর্মস্থলে যান।করোনায় লকডাউনের কারণে মহাসড়কে যাত্রীবাসি বাস চলাচল না করায় রাতে আশুগঞ্জ থেকে পায়ে হেটেঁ ভৈরবে রওনা করেন। পরে সড়ক সেতুটি অতিক্রম করে ভৈরব টোল প্লাজার ৫‘শ গজ সামনে আসা মাত্রই কয়েকজন ছিনতাইকারী হামলা করে এবং এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
থানার ওসি মো. শাহিন কালের কণ্ঠকে জানান, প্রতিটি ঘটনাই বিচ্ছিন,সবহত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে মাঠে নেমেছে।