শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিনের মানবিক উদ্যোগে এলাকায় প্রশংসিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় মানবিক সেবামূলক কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল-কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানও। রমজান মাস এলেই ব্যবসায়ীরা যেখানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকেন সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নজির স্থাপন করেছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন।
উপজেলার নিয়ামতপুরের রৌহা গ্রামে জেসি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে তাঁর একটি গরুর খামার রয়েছে। সে খামার থেকে এবার রমজান উপলক্ষে মোট উৎপাদিত দুধের ৫০ ভাগ তিনি ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। রমজান মাসের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত ১০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রির এ কাজ চলমান থাকবে বলে জানান এরশাদ উদ্দিন। সে জন্য এলাকায়ও প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস আ্যন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জে সি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন বলেন, রমজান মাসে সবাই দুধ খেতে চায়। বিশেষ করে সাহ্রির সময় এটা অনেকরই পছন্দনীয় খাবার তালিকায় থাকে। সে জন্য দুধের দাম বেড়ে যায়। তাই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন পুরো রমজান মাস পর্যন্ত তাঁর খামারের উৎপাদিত দুধের অর্ধেক পরিমাণ তিনি ১০ টাকা কেজি করে বিক্রি করবেন। যে কেউ সে দুধ খামারে এসে কিনে নিতে পারবেন।
পহেলা রমজানের থেকে ২৫টি পরিবারের কাছে এক কেজি করে ২৫ কেজি দুধ বিক্রির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করি। যেহেতু এখন খামারে মোট উৎপাদন হচ্ছে ৫০ কেজির মতো দুধ। তবে চাহিদা অনুযায়ী ১০ টাকা কেজি করে বিক্রির দুধের পরিমাণ আরও বাড়ানোর চিন্তা করছেন তিনি।