ভৈরবে ব্যবসায়ী ফারুক খান হত্যা মামলার মূল আসামি রায়হান সহ ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ তথ্য রোববার দুপুরে জানিয়েছে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো: শাহিন। মামলার অন্য আসামিরা হলো নরসিংদীর রায়পুরার গকুল নগরের মৃত লায়েছ মিয়ার পুত্র মোঃ রাসেল মিয়া ও পৌর শহরের পঞ্চবটি গ্রামের সুজন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহের আলীর পুত্র রবিন। পৌর শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি সুইসগিয়ার ও ছিনতাই হওয়া ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ফারুক খান ও তার মামাতো ভাই আরিফ আশুগঞ্জ থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ৩শ গজ দূরে মন্দিরের কাছে পৌছলে ছিনতাইকারীরা আকস্মিক তাদের উপর হামলা চালিয়ে এলাপাথারী ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত ফারুকের ছোট ভাই সুমন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোঃ শাহিন কালেরে কণ্ঠকে জানায়,শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে জগমোহন গ্রামের আঃ হক এর পুত্র রায়হান নরসিংদীর রায়পুরার গকুল নগরের মৃত লায়েছ মিয়ার পুত্র মোঃ রাসেল মিয়া ও পৌর শহরের পঞ্চবটি গ্রামের সুজন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহের আলীর পুত্র রবিন কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এবং তাদের স্বীকারোক্তিনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা সুইস গিয়ার ও ছিনতাই হওয়া ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।