এফএনএস সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর অবশেষে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসন সেই ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন। স্থানীয় পরিবেশবিদরা এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
গত ১৫ জানুয়ারী এফএনএস এ ‘মহাদেবপুরে ১৭ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ : নীরব প্রশাসন’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ওই খবরে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই বিশাল এলাকাজুড়ে ফসলী জমি নষ্ট করে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও বাজারের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে আল আমিন ব্রিকস নামে ইটভাটা। সেখানে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনই ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এই খবর প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবশেষে গত ১৮ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসন ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসমা খাতুন থানা পুলিশের সহায়তায় এদিন বিকেলে মোট তিনটি ভাঁটা পরিদর্শন করেন। প্রথমেই তিনি উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের বাগডোব এলাকায় অবস্থিত আল আমিন ব্রিকস ভাটায় গিয়ে প্রকাশিত খবরের সত্যতা পান। অভিযানে ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাঁটা স্থাপন আইনে ওই ইটভাটার মালিক ইউসুফ আলীর ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এ ছাড়া তিনি খাজুর ইউনিয়নের সরকার এ- সন্স ব্রিকস ইটভাটার মালিক ইব্রাহিম হোসেন সরকার ও খান এ- সন্স ব্রিকস ইটভাটার মালিক আতোয়ার রহমান খানের প্রত্যেকের ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিলন জানান, অভিযান অব্যাহত থাকবে।