শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের সাহাপাড়াস্থ প্রসন্ন কুমার সাহা প্রি ক্যাডেট অ্যাকাডেমিক স্কুলের আসবাবপত্র চুড়ি ও তছনছ করেছে দুবৃর্ত্তরা। আজ ১৯ এপ্রিল সোমবার প্রসন্ন কুমার সাহা প্রি ক্যাডেট অ্যাকাডেমিক স্কুলের দাতা গোপাল চন্দ্র সরকার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পত্রের সূত্রে জানা গেছে, রাতের আঁধারে স্কুলকে ধ্বংস করার জন্য স্কুলের সোফা চেয়ার, সাধারন চেয়ার, আলমারী, টেবিল, খাতাপত্র, সিলিং ফ্যান, বেঞ্চ, সোলার ব্যাটারী চার্জারসহ লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র ও সীমানা বেড়া, স্কুল ঘরের বেড়াসহ চুড়ি করে নিয়ে গেছে দুবৃর্ত্তরা।
এ বিষয়ে প্রসন্ন কুমার সাহা প্রি ক্যাডেট অ্যাকাডেমিক স্কুলের দাতা গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন, ১৯৯৮ সাল হতে প্রসন্ন কুমার সাহা প্রি ক্যাডেট অ্যাকাডেমিক স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে এলাকার শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। গত বছর করোনা প্রার্দুভাবের কারণে স্কুলটি বন্ধ থাকায় একটি কুচক্রী মহল স্কুলটি ধ্বংসসের জন্য বিভিন্ন ভাবে লিপ্ত হয়। পরে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের স্বার্থে স্কুল প্রতিষ্ঠানটি তত্বাবধানে নেয়। এরপর হতে বেশকিছু দিন প্রতিষ্ঠানের কোন আসবাবপত্র তশরুপ হয়নি। কিন্তু বিগত মাস খানিক সময়ে কে বা কাহারা প্রতিষ্ঠানের আলমারী, ফ্যান, চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্র চুড়ি করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও স্কুল ঘরের টিনের বেড়া, সীমানা বেড়া খুলে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দাড়প্রান্তে দাড়িয়েছে। তাই প্রতিষ্টানটি রক্ষার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বলেন, জমিটি নিয়ে সরকারের সাথে প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্যের দীর্ঘদিন মামলা চলমান ছিল। পরপর ৩টি রায় বাদী পক্ষের অনুকুলে আসায় জমিটি তাদের ব্যাক্তি মালিকাধীন। দেখভাল করার দায়িত্ব তাদের। এ ব্যাপারে আমরা ভূমি মন্ত্রনালয়কে অবগত করে নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আসবাব চুড়ির বিষয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারে এবং দুস্কৃতিকারীরা যদি ধ্বংসের চেষ্টা চালায় তাহলে তা প্রতিহত করা হবে।