নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১নং সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীর ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ও গুলি। এতে নুরনবী চৌধুরীসহ ২জন আহত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী মোটর সাইকেল যোগে তার কর্মস্থল সিরাজপুর ইউনিয়ন থেকে বসুরহাট পৌরসভার মাষ্টার পাড়া হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরের দিকে আসছিলেন। এরমধ্যে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়ায় একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত অস্ত্র-শ্বস্ত্র নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে এবং নুরনবী চৌধুরী কিছু বুঝে উঠার আগে তার ওপরে অতর্কিত হামলা চালায় এবং গুলি করে। গুলি ও হামলায় তার দু’পায়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং দু’ পা ভেঙ্গে যায়। এ সময় তার সাথে থাকা তার সহযোগী আবদুর রব পিন্টু তাকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোন মূর্হুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এলাকায় র্যাব, ডিবি পুলিশ ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ টহল দিচ্ছে।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম বলেন, তার বাম পায়ের হাটুর নিচে গুলির ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলির চিহ্ন অনেক ভিতরে চলে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আ’লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, নুরনবী চৌধুরী ডিজিএফ এর চাউল ছাড়ানোর জন্য সিরাজপুর ইউনিয়ন থেকে উপজেলায় যাওয়ার পথে বসুরহাট পৌরসভার মাষ্টার পাড়া নামক স্থানে একদল সন্ত্রাসী নুরনবী চৌধুরীর দু’পায়ে গুলি করেছে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তার অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা আ.লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবী জানাচ্ছি।