আসমানীদের দেখতে যদি তোমরা সবাই চাও রহুমদ্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। রসুলপুরে নয় নকলার রুমেছা বেগম সেই আসমানীর এক বাস্তব রূপ। বর্তমান যুগে এমনই একজন আসমানী অসহায় বৃদ্ধা রুমেছা বেগম ঝুপড়ি ঘড়ে বসবাস করছেন। রুমেছার জীবনের শেষ ইচ্ছে সরকারী বরাদ্দের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ঘর উপহার পাওয়ার।
শেরপুরের নকলা উপজেলায় বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাড়ীর পাশেই রুমেছার বসবাস। ৩৫ বছর আগে স্বামী হারিয়ে বিধবা হয়েছেন একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ২০ বছর আগে। অনাহারে অর্ধহারে কাটে তার দিন। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা ঝুপড়ি ঘর থাকেন রুমেছা বেগম। ৮০ বছরেও মেলেনি সুখের হাতছানি। অভাবের তাড়নায় ও বার্ধক্যের কারণে ঠিকমতো চলতে পারেন না। চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে গেছে আরো অনেক আগে।
ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে বিছানার একপাশে বসে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ডাকতে থাকেন। সারা ঘরেই পড়ে বৃষ্টির পানি। শীতের সময় ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে সারা ঘরে। পলিথিন সিমেন্টের কাগজের বেড়া সামান্য বাতাসেই হয় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন। ঘরের ভাঙ্গা টিনের চালে বৃষ্টি হলেই পড়ে অনবরত পানি। আশপাশের লোকজনের দেয়া খাবারেই চলে তার জীবন। তিনি এখন জীবনের শেষ বেলায় একটু নিরাপদে ও শান্তিতে ঘুমাতে চান।
বৃদ্ধা রুমেছা বেগম বলেন, হুনছি শেখের বেটি হাসিনা গরিবের কতা হুনে আমারে এডা ঘর দিলে শেষ বয়সে ইট্টু শান্তিতে ঘুমাইতাম।