প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর চান বৃদ্ধা রুমেছা শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অসহায় বৃদ্ধা রুমেছা বেগমের (৮০) ঝুপড়ি ঘড় পরিদর্শন করেছেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান। এ সময় ঝড়-বৃষ্টির কবল থেকে রক্ষার জন্য নকলার ৫নং বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজস্ব অর্থায়নে নতুন টিন দিয়ে রুমেছার ঝুপড়ি ঘরটি মেরামত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৃদ্ধা রুমেছা বেগম বলেন, ৩৫ বছর আগে স্বামী হারিয়ে বিধবা হয়েছেন। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ২০ বছর আগে। অনাহারে অর্ধহারে কাটে তার দিন। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা ঝুপড়ি ঘর থাকেন। ঘরের ভাঙ্গা টিনের চালে বৃষ্টি হলেই পড়ে অনবরত পানি। শীতের সময় ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে সারা ঘরে। পলিথিন সিমেন্টের কাগজের বেড়া সামান্য বাতাসেই হয় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।
তিনি আরো বলেন, হুনছি শেখের বেটি হাসিনা গরিবের কতা হুনে, আমারে এডা ঘর দিলে শেষ বয়সে ইট্টু শান্তিতে ঘুমাইতাম।
৫নং বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত জানান, বৃদ্ধা রুমেছা বেগমের নিদিষ্ট কোন জমি না থাকায় গৃহহীনদের তালিকায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। গুচ্ছগ্রামে যেতে বললেও তিনি পরিবারের লোকজন থেকে দূরে থাকতে রাজি হননি। তাই তাকে ঘর দেয়া সম্ভব হয়নি।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, রুমেছা বেগমের সৎ ছেলেরা জমি দিতে রাজি হওয়ায় ওই অসহায় বৃদ্ধার ঘরের জন্য বিশেষভাবে আবেদন করা হবে। যেন খুব দ্রুত তাকে সরকারী বরাদ্দের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে একটি ঘর দেয়া যায়।