বগুড়ার শেরপুরে আম্বইল গোড়তা এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর-বাড়ী নির্মাণ করায় সুমার আলী ও শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে ২১ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল-গোড়তা গ্রামের মৃত শাজাহান আলীর ছেলে আবু তাহের প্রায় ১৬ বছর আগে ফেলু সরকারের ছেলে খয়রাত আলীর কাছ থেকে ২৮ শতক জমি ক্রয় করে। যার দাগ নং-৩৮২, খতিয়ান নং ৪৮১ জেএলনং ৭০, মৌজা: গোড়তা। কিন্তু গত ২ বছর পূর্বে ভবানীপুর ইউনিয়নের নায়েব ভুল করে সাড়ে ২৮ শতকসহ এলাকার অনেক জমি খাস খতিয়ানের ভিতরে দিয়েছে। এ বিষয়ে আবু তাহেরের ছেলে মেহেদী হাসান সোহাগ বাদি হয়ে ঐ সাড়ে ২৮ শতক জমি ফিরে পেতে বগুড়া জজ কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে। কিন্তু এর রায় না হতেই জমির দক্ষিন পার্শে ও পশ্চিম পাশে দুইজন সিদ্দিক মোল্লার ছেলে সুমার আলী ও সাফীর ছেলে শুক্কুর আলীর বাড়ী থাকায় কিছু লোকজনকে টাকা দিয়ে জোড় পূর্বক গত ১০দিন ধরে বাড়ী-ঘর নির্মান শুরু করে। সেখানে মেহেদী হাসান সোহাগ তার ভাই সিহাব ও পিতা আবু তাহের ঘর তুলতে বাধা দিতে গেলে তাদেরকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এতে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এমতবস্থায় তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও জমি দখল মুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মেহেদী হাসান সোহাগ।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।