দেশ ব্যাপী কঠোর লক ডাউনের তৃতীয় দফার প্রথম দিনেও সিরাজদিখান উপজেলায় ডিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। এ সময়ে উপজেলার হাট বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। আর সে সব বাজারগুলোতে লোকজনের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পরার মতো। এ ছাড়া বিভিন্ন অটোরিক্সা চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় মালখানগর চৌরাস্তা, ইছাপুরা চৌরাস্তা, সিরাজদিখান বাজার, নিমতলা পয়েন্টসহ অনেক চৌরাস্তাগুলোয় যানজটও দেখাগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন দিতে মানুষের চাপ বাড়ছে। সেই সাথে ভলান্টিয়ার ঠিক মত না থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে, তারাও পরছেন স্বাস্থ্য ঝুকিতে। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
সচেতন নাগরিক অনেকে জানান, যতক্ষণ আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলা, সামাজিক দুরত্ব, স¦াস্থ্যবিধি না মানব, নিজেরা সচেতন না হব। প্রশাসনের পক্ষে সব কিছু কন্ট্রোল করা সম্ভব হবে না। আমাদের আগে বাঁচতে হবে পরে সবকিছু। সরকার জনগণের স্বার্থে সব কিছু করেন, সেটাও আমরা ঠিকমত মানছি না। আসলে আমাদের শিক্ষার অভাব।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, মানুষ নিজে থেকে এটা সিরিয়াসলি নিচ্ছে না। সে ভাবছে এটা আমার জন্য না, আমি মাস্ক পরব না, এটা আমার কিছু হবে না। আসলে এটা একটা স্বভাব। অচেতনতার অভাব আছে, স্বচেতনার অভাব এখন আর নাই। মানুষের অবজ্ঞা অবহেলার কারণে মানুষ মাস্ক পরতেছেনা, হাট বাজারে চলে আসতেছে এটা হলো মুল কারন। আইনের কঠিন প্রয়োগ দরকার, আইনে যেটা আছে সেটা আমরা সহনশীল মাত্রায় প্রয়োগ করি সেটা কঠিন মাত্রায় প্রয়োগ করা দরকার। তিনি আরো বলেন এখন (বুধবার বিকাল ৩ টা) আমি বালুচর বাজারে আছি। সিরাজদিখান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে মাস্ক বিতরণ, জরিমানা আদায় করেছি। এ ছাড়া সচেতনা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছি, আমরা থেমে নেই।