শ্রীনগরে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু আশংঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে থাকলেও অভিযোগ আমলে নিচ্ছেনা থানা পুলিশ। এমটাই অভিযোগ গৃহবধুর বাবা লুৎফর শেখের। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর বাবা জানায়, গত ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মনপাইকশা গ্রামে শ^শুর বাড়িতে তার মেয়ে সুমি আক্তার (২২) অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে আশঙ্কা জনকভাবে চিকিৎসার জন্য সরাসরি ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানায়, তার শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। আর এ ঘটনায় থানায় বার বার অভিযোগ করার চেষ্টা করলেও থানা পুলিশ অভিযোগ আমলে নিচ্ছন না বলে জানান। গৃহবধুর বাবা লুৎফর শেখ আরো বলেন, অগ্নিদগ্ধ ঘটনার প্রায় ৫ দিন পার হয়ে যাওয়ার পর শ্রীনগর থানা পুলিশের এস.আই আবদুল আজিজ হঠাৎ করে আমার বড় ছেলে সোহেলকে মোবাইল ফোন করে থানায় এসে অভিযোগ করতে বলেন। অভিযোগ করার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার বড় ছেলে সোহেলসহ কয়েকজন মাদারিপুরের শিবচর উপজেলা থেকে শ্রীনগর থানায় এসে উপস্থিত হই। এ সময় শ্রীনগর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাাম ভূঞা অভিযোগ আমলে না নিয়ে একটি ভিডিও দেখায়। ওই ভিডিওতে দেখাযায় যে, পুলিশ আমার মেয়েকে নানা ধরনের প্রশ্ন করছে। ভিডিওতে পুলিশের যে কন্ঠস্বর দাবী করা হয়েছে তা এস আই.আজিজ ও মালেকের নয় বলে গৃহবধুর চাচা আলমগীরের দাবী। এ বিষয় আলমগীর জানায়, ভিডিওর ওই কন্ঠস্বরটি পুলিশের নয়, বরং কন্ঠস্বরটি সুমী আক্তারের স্বামী আল-আমিনের বড় ভাই আওলাদের।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হেদায়েতুল ইসলাম ভূঞা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার দিন দু’জন এস.আইকে পাঠিয়ে অগ্নিদগ্ধ সুমির ভিডিও আনা হয়েছে।