ফেসবুকে শেখ পরিবারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্টাটাস দেয়ায় যশোরের কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ২২ এপ্রিল দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা গেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা ২১ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১ টা ৩৪ মিনিটে তার নিজ ফেসবুক আইডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ চাঞ্চল্যকর ও বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের দৃষ্টি গোচর হলে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীনকে বিষয়টি জানান।
গাজী গোলাম মোস্তফা দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি এবং দলকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার হীন চক্রান্ত বলে বিবেচিত হওয়ায় ২২এপ্রিল দুপুরে তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা জানান, ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের কাউকে জড়িয়ে পোস্ট দেয়া হয়নি। যে আদর্শে আমি ৪০ বছর রাজনিতি করি সে আদর্শ নিয়ে পোষ্ট দেয়ার প্রশানই ওঠে না। তিনি বলেন গত কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনের আগে থেকে তার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।সামনে কেশবপুরে দলের কাউন্সিল অধিবেশন, এর আগেই সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি।তিনি বলেন ২০০২ সালে আমি দলের জয়েন্টকনভেনার হই।আর ২০০৩ সালের ২৫ মে দলের উপজেলা কাউন্সিল অধিবেশনে আমি দলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রার্থঢী সেটিংয়ের বিষয় আছে সে কারণে আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন বলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কিকারনে বহিস্কার করা হয়েছে সেটা আমি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যে উল্লেখ করেছি।