পাবনার সুজানগরে চলতি লকডাউনে ঘোড়ার গাড়ীর কদর বাড়ছে। যাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৃষিপণ্য এবং মালামাল ঘোড়ার গাড়ীতে বহন করা হচ্ছে। অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে ঘোড়ার গাড়ীর ভাড়াও অনেক কম। সেকারণে লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াত এবং মালামাল বহনে ঘোড়ার গাড়ি বেছে নিয়েছেন।
সুজানগর পৌর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা জানান, চলতি দুই সপ্তাহের লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে ভারি যানবাহনের পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনও চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেকারণে ঘোড়ার গাড়িতে করে দোকানের মালামাল বহন করতে হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে ঘোড়ার গাড়ীতে মালামাল আনতে খরচও মণ প্রতি ১‘শ টাকা কম। তবে ঘোড়ার গাড়ীতে মালামাল আনতে খরচ কম হলেও সময় বেশি লাগে বলে তিনি জানান। উপজেলার বোনকোলা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ মাস্টার বলেন লকডাইনের কারণে পুলিশ রাজপথে বাস এবং অন্যান্য যানবাহন চলতে দিচ্ছেনা। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে যাদের উপজেলা বা জেলা শহরে যেতে হচ্ছে তারা ঘোড়ার গাড়ীতে যাতায়াত করছেন। উপজেলার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের ঘোড়ার গাড়ী চালক আবদুল মালেক বলেন লকডাউন এবং অবরোধের সময় ঘোড়ার গাড়ীর বেশ ভাড়া হয়। কৃষিপণ্য এবং দোকানের মালামালের পাশাপাশি লোকজনও এ সময় ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করেন। তাছাড়া ঘোড়ার গাড়ী আগের মতো কাঠের চাকায় চলেনা। ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর মতো টায়ার লাগিয়ে চালানো হয়। সে কারণে ঘোড়ার গাড়ীতে বেশ দ্রুত যাতাযাত এবং মালামাল পরিবহন করা যায়।