করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে বগুড়ার নন্দীগ্রামে দুস্থ্য অসহায় ও নিম্মবিত্তদের পাশে কেউ নেই। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের পদপ্রত্যাশী ও বর্তমান এবং সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরাও এ কঠিন পরিস্থিতিতে খাদ্য কিংবা আর্থিক সহায়তা দেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গত বছর করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে 'সাধারণ ছুটি' ঘোষণার পরই নন্দীগ্রাম উপজেলায় দু:স্থ্য অসহায়, কর্মহীন ও নিম্মবিত্ত আয়ের মানুষের মাঝে সরকারি উদ্যোগে সহায়তা দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানাসহ অনেক ব্যক্তিই। এবার আনোয়ার হোসেন রানা পারিবারিক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তবে অন্যকোনো ব্যক্তিদের মাধ্যমেও এখনো সহায়তাই মিলেনি। শুধু কাউন্সিলের কথা শুনলেই কিছু আওয়ামী লীগ নেতার আগমন ঘটে নন্দীগ্রামে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলের পদ পাবার জন্য অনেক নেতা থাকলেও এখন ওইসব নেতাদের দেখাই যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে ঘরবন্দি করে রাখতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিদের সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরিবহন শ্রমিক শামীম হোসেন বলেন, আমার মতো অনেকে কর্মহীন হয়ে বসে আছেন। এখনো আমরা কোন খাদ্য বা আর্থিক সহায়তা পাইনি। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমাদের ঋণ করে চলতে হবে।
ক্ষমতাসীন দলের ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী বলেন, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যই ব্যক্তি উদ্যোগে দু:স্থ্য ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক নেতাই দলীয় পদ নেয়ার জন্য ভিড় করে। আবার কিছু নেতারা কেন্দ্রীয় কোন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণও করে না। বর্তমান করোনা কালীন সময়ে সাধারন মানুষের পাশেও নেই। তবে আমি ব্যক্তি উদ্যোগে অচিরেই অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবো।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, এই উপজেলায় কর্মহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ আসেনি। তবে কয়েক দিনের মধ্য আসবে বলে শুনেছি। এ ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা করেনি।