রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঈদকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে দিবারাত্র মজাদার লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কাজ চলছে। অনেক কারখানা হতে তৈরীকৃত সেমাই ইতোমধ্যে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের উপজেলায় সরবরাহও দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি কারখানাতে অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও আপত্তিকর পরিবেশে এই সেমাই তৈরী হচ্ছে। এসব কারখানায় শ্রমিক হিসেবে যারা কাজ করছে তাদের কারো ড্রিলিং লাইাসেন্স নেই,নেই কোন শারিরিক ফিটনেস। অনেকের আঙ্গুলের ফাকে দগদগে ঘা। শরীরে দাউদ,কাউর ও চুলকানি। শরীর থেকে দরদর করে ঘাম ঝরে মিশে যাচ্ছে সেমাই তৈরীর উপাদানে। নি¤œমানের কমদামি ডালডা ও তেল ব্যবহার করা হলেও চটকদার ও সুদর্শন মোড়কে প্যাকিং করা হচ্ছে এসব সেমাই। দামও হাকা হচ্ছে প্রতি ৪’শ গ্রাম প্যাকেট সেমাই ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের মুচির গুদামে ১ টি,খালাশপীরে ১ টি,জাফরপাড়ায় ১ টি,রায়পুরে ১ টি,মন্ডলের বাজারে ১ টি রসুলপুরে ১ টি,ধাপেরহাটে ১ টিসহ অন্যান্য স্থানে আরও ৩ টি সেমাই তৈরীর করখানা রয়েছে। মুচির গুদামে আব্দুল্লাহ সেমাই কারখানার মালিক মামুন জানান,বগুড়ার মহাজনরা গ্যাস সরবরাহ পাবার সুবাদে অনেক কম খরচে উৎপাদন করতে পারেন। দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকার কারখানাগুলোতে প্রতিদিন ১’শ বস্তা ময়দার সেমাই তৈরী হয়। এজন্য ওদের উৎপাদন ব্যয় স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। সেই তুলনায় আমাদের ব্যয় বেশি হওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যায়। যে কারণে তুলনামুলক বেশি দামে বিক্রি করতে গিয়ে আমরা বাজার হারিয়ে ফেলছি। দিনের পর দিন আমাদের মালামালের চাহিদা কমে যাচ্ছে পক্ষান্তরে ওদের তৈরী মালামালের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এভাবে আর কয়েকদিন চলতে থাকলে একসময় আমাদের তৈরী সেমাইয়ের কোন অস্তিত্বই থাকবে না ! এসব দেখাশোনার দায়ীত্বে নিয়োজিত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা টানা এক যুগ ধরে এ উপজেলায় কর্মরত। অভিযোগ রয়েছে,এসব কারখানার সাথে বিশেষ চুক্তি থাকায় তিনি রহস্যজনক নীরবতা পালন করছেন বরাবর।