প্রায় ১যুগ থেকে শিকলে বন্দি সুলতানার চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম। ২৩এপ্রিল শুক্রবার সকালে নজরুল ইসলাম সুলতানার বাড়িতে গিয়ে এ আশ্বাস দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা চিকিৎসা কর্মকর্তা আরেফিন দেওয়ান। এ ছাড়া সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন। সুলতানা(২৮) হলোখানা ইউনিয়নের চর সুভারকুটি গ্রামের মোক্তারের হাট এলাকার মৃত ছকমালের মেয়ে।
ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ দেখে আমি সুলতানার বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানতে পারি, ১০/১২ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মেহের জামালের সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হয়ে পড়েন সুলতানা। পরে অর্থের অভাবে কবিরাজি চিকিৎসা করার কারণে সে আর সুস্থ হয়ে উঠেনি। তাঁর অসুস্থার কারণে উন্নত চিকিৎসা না করা, অযত্ন আর অবহেলায় ধীরে ধীরে আরো মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুলতানা। এমতাবস্থায় তার একটি মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। এলাকার ছ’মিল মালিক মোঃ বেলাল রহমান সহ অনেকে বলেন, মেয়েটির শুধু উন্নত চিকিৎসার অভাবে এই পরিণতি। যদি তার উন্নত চিকিৎসা করা যায় আমরা আশাবাদী সে সুস্থ হয়ে উঠবে। কারণ তার এ সমস্যা জন্মগত নয়। তার ভাইয়েরা তার চিকিৎসা করার পর ভাল না হওয়ায় তাকে শিকলে বেঁধে রাখে।
ডাঃ নজরুল ইসলাম আরো বলেন, তাকে দীর্ঘদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হবে। এজন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। তাই সিএস স্যার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে সুলতানার সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।