চলতি রমজান মাসে পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে আকাশ ছোঁয়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে সবজি কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রমজান মাসের ১১দিন অতিবাহিত হয়ে ১২দিন চললেও সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের মতোই পটল, ঝিঙে, করলা, বেগুন, ঢেঁড়স এবং পেঁপেসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু এবং কাঁচা মরিচের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০টাকা এবং প্রতি কেজি আলু ১৫থেকে ২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার রাধানগর গ্রামের ভ্যান চালক আবদুর রাজ্জাক বলেন একেতে লকডাউনের কারণে কামাই-রোজগার নাই, তারপর হাট-বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০টাকা। ফলে নিরুপায় হয়ে কম দামি আলু কিনে খাচ্ছি। পৌর বাজারে সবজি কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন বাজারে প্রতিটি সবজির দাম অত্যন্ত চড়া। সেকারণে আগের বাজারে ১কেজি বেগুন কিনলেও বর্তমান বাজারে আধা কেজির বেশি কিনতে পারছিনা। ভুক্তভোগী ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন বাজারে ঐ সকল সবজির আমদানি যথেষ্ট থাকলেও ব্যবসায়ীরা রমজান মাসের সুযোগে অধিক লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তবে সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন লকডাউনের কারণে হাট-বাজারে সবজির আমদানি কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন কোন ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।