করোনাভারাসের চিকিৎসায় শেরপুরে ভেন্টিলেটর চালানোর দক্ষ লোক না থাকায় এ সেবা দেওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শেরপুরের সিভির সার্জন ডা. আনওয়ারুর রউফ। তিনি বলেন, বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চারটি ভেন্টিলেটর রয়েছে। দুটি ভ্যানটিলেটর স্থাপন করা আছে। আরও দুটি ভ্যানটিলেটর চলে এসেছে। যে কোনো সময় ওই দুটি স্থাপন করা হবে। কিন্তু ভ্যালটিলেটর সাপোর্ট আপাতত আমাদের হাসপাতালে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ ভ্যালটিলেটর চালানোর মতো লোকবল আমাদের হাসপাতালে নেই। প্রশিক্ষিত জনবলও আমাদের নেই। কাজেই ভ্যালটিলেটর সুবিধা আমরা দিতে পারব না। তবে কোভিড-১৯ রোগীদের হাইপো নেজার ক্যানোলা দিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এখানে হাইপো নেজার ক্যানোলা স্থাপন করা আছে। এ ছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে সামনে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে সংক্রমণের হার একদম কম থাকলেও এপ্রিল মাসে শেরপুরে করোনা রোগীর বেড়ে গেছে। জেলায় মোট ৬৬৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের মধ্যে শুধু এপ্রিল মাসে ৫৬ জন আক্রান্ত হয়। তাদের চারজন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। বাকিরা বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছে।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ৫০ কোভিড-১৯ রোগীর জন্য বিছানা প্রস্তুত করা আছে। সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজের লাইনের মাধ্যম অক্সিজেন সরবরাহেরও ব্যবস্থাও রয়েছে। জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি করে মোট ৮০টি বিছানা কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা আছে।
সিভিল সার্জন চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত লোকবলের চিত্র তুলে ধরে জানান, জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য জনবল প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকার পরও কোভিড-১৯ রোগী, প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে আসা সাধারণ রোগী এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। কোভিট-১৯ রোগীদের জন্য ১১ জন ডাক্তার, ২০ জন নার্স ও অন্যান্য স্টাফ ১৮ জন নিয়োজিত আছে।
২৫০ শয্যার হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সসহ প্রয়োজনীয় লোকবল এখনও পাওয়া যায়নি। ১০০ শয্যার হাসপাতালের জন্য ৩৬ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও এখন কর্মরত আছেন ১৯ জন ডাক্তার। ১৭ জন ডাক্তারের পদ এখনও খালি। নার্সের ৮৯টি পদের মধ্যে আছে ৭৫ জন। আবার এরমধ্যে ডেপুটেশনে অন্যত্র রয়েছেন ৪ জন নার্স।