শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ মিয়ার কর্তৃক মোঃ সাইফুল ইসলাম নামের এক ইমাম মারধর ও লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এ ঘটনায় ওই ইমাম নালিতাবাড়ী থানায় মারধর ও নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৯ মাস পূর্বে বুরুঙ্গা গ্রামের নুর ইসলাম মেম্বারের (ভাতিজি-ভাতিজা) কে ঝাড়ফুক, তাবিজ কজব দেওয়া কে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বারমারী বাজারে পোড়াগাওঁয়ের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার নুর ইসলাম মেম্বারের অভিযোগে উত্তর আন্ধারোপাড়া শান্তির মোড় বায়তুল মামুর জামে মসিজদ এর ইমাম মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৫) কে চেয়ারম্যান আজাদ মিয়ার ভাতিজা মোর্শেদকে দিয়ে চেয়ারম্যানের আবাসিক হোটেলে চেয়ারম্যান ডেকে পাঠায়। এইসব বিষয় নিয়ে সাইফুল কে চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের করে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান রাগান্তিত হয়ে ইমাম মোঃ সাইফুল ইসলাম কে গালে মুখে চড়াতে থাকে এবং গলা টিপে ধরে। পরে উপস্থিত মানুষজন ফিরফার করে এবং মসজিদ কমিটির লোকজন এসে সেখান থেকে ইমাম মোঃ সাইফুল ইসলাম কে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাটির এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে বুরুঙ্গা ব্রীজপাড় পূর্ব মোড়ে মসজিদ এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া এহেন আচরনের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
এব্যাপারে উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিন বলেন, কোন ঘটনা হয়ে থাকলেও চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। এর জন্য আইন আছে। কি হয়েছে ভুল ত্রুটি সত্য জেনে বিষয়টি বুঝে সবাই বসে সিদ্ধান্ত করা যেত। কিন্তু একজন চেয়ার্যমান ইমাম কে অপদস্থ ও মারধর করা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া। এটা নেয়ায়েত ভুল। এটা ইমাম সমিতিতে জানাতে পারতো।
পোড়াগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ মিয়া বলেন, আমি মিটিং করছি। এইজন্য বিষয়টি নিয়ে কথা পরে বলতে হবে।