নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন আমি কয়েক বার কোম্পানীগঞ্জে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি ১১টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি কিন্তু তার বিপরীতে আজকে এ নোয়াখালী ও ফেনীতে আমার পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্রের একটি নীল নকশা তৈরী করেছে। সেই নীল নকশা মোতাবেক ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী এখন দুবাইতে অবস্থান করতেছে। দুবাই যাওয়ার আগে অপরাজনীতির হোতা একরাম, ফেনীর নিজাম হাজারী, দুর্নীতিবাজ সচিব বেলায়েতসহ ঢাকায় একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওবায়দুল কাদেরকে রাজনীতি থেকে সরাবে এবং আমি আমার পুত্র তাশিক মির্জা ও আমার ছোট ভাই শাহাদাতকে তারা হত্যা করবে। এ পরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালীর একরাম কোম্পানীগঞ্জের কুলাঙ্গার বাদলকে (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান) তাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছেন তোমরা বৈঠক করে তোমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তিনি শনিবার রাত ১০টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে ৫২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে এর লাইভে এসে এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জার আরও বলেন, মাদক স¤্রাট মঞ্জুর (ভাগিনা) বাসায় কুলাঙ্গার বাদলসহ এখানকার সব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কুলাঙ্গারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তারা বৈঠক করে কানা মঞ্জুকে দলের মূখপাত্র করেছে। সে মুখপাত্র না হওয়ার চেষ্টা করেছিলো। একরাম চৌধুরী তাকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর সে মূখপাত্র হওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। তারপর সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি আমার ছেলে ও আমার ছোট ভাইকে হত্যা করা হবে, ওবায়দুল কাদেরের রাজনীতি এ নোয়াখালী থেকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠানো হবে। এটার মূল কারণ হচ্ছে একরামুল করিম চৌধুরী কাছে খবর এসেছে উনি আর নোয়াখালী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হবেন না এবং নিজাম হাজারী খবর পেয়েছে আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে উনি আর মনোনয়ন পাচ্ছেন না। আজকে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের নাম আপনাদেকে জানাতে হবে। তাই আমার লাইভে আসা।
মির্জা কাদের আবারও বলেন, একরাম চৌধুরী দুবাইতে বসে আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করার জন্য কিলিং গ্রুপ সৃষ্টি করেছে। নিজাম হাজারী কুলাঙ্গার বাদলকে বলেছে মির্জা ও তার পরিবারকে খুন করার সময় তুমি দেশের বাহিরে থাকবে। নিজাম হাজারী ফেনীতে কোন কিছু ঘটালে অথবা কাউকে হত্যা করা হলে, তখন সে (নিজাম হাজারী) দেশের বাহিরে সিঙ্গাপুর দুবাই না অন্য কোন জায়গায় থাকে।
কাদের মির্জা বলেন, আজকে (শনিবার) ঘুম থেকে জেগে শুনলাম কোম্পানীগঞ্জের কুলাঙ্গাররা নাকি ঢাকায় গিয়েছে। ঢাকায় গিয়ে তথাকথি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক (গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি) নুরনবী চৌধুরীকে দিয়ে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বিরুদ্ধে সংবাদিক সম্মেলন করা চেষ্টা করেছে আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার জন্য। কিন্তু কি কারণে ব্যর্থ হয়েছে তা আমি জানি না। এরপর তারা সেতুমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে দেখা করতে গেছে। মন্ত্রী তাদেরকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে পাঠিয়েছেন। একটু আগে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি আমাকে ফোন করেছে, আমি বলেছি আমি তো আর দল করি না। আমি অপরাজনীতির সাথে নাই। একথা বলে আমি ফোন কেটে দিয়েছি। ওবায়দুল কাদেরের সংসার তিনি কিভাবে সাজাবেন সেটা তার ব্যাপার। সেখানে আমার কি করার আছে। আমি তো আর আ.লীগ করি না। এসব সমন্বয় করতেছে সেতুমন্ত্রীর সহকারী নুরুল করিম জুয়েল, সেই তাদেরকে ঢাকায় প্রেসক্লাবে নিয়ে গেছে। মন্ত্রী ৬/এ বাসায় নিয়ে গেছে।
কাদের মির্জা বলেন, রাহাত (ভাগিনা) এতদিন ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে ছিল। এখন সে একরাম চৌধুরীর সাথে হাত মিলিয়েছে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মাইজদী, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে মিছিল মিটিং করার জন্য। একরাম, নিজাম ও দুর্নীতিবাজ সচিব বেলায়েত প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়েছে। মন্ত্রীর পিআরও নাছের দায়িত্বে নিয়েছে নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জের তথাকথিত সাংবাদিকদের কনভেন্স করার জন্য, যাতে নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জে যেকোন কিছু ঘটে সেটা তাদের পক্ষে নেওয়ার জন্য। সচিব বেলায়েত ও আমার ভাগিনা লেঃ কর্নেল ফখরুদ্দিন টুইংকেল গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কাজ করতেছে ওবায়দুল কাদেরকে সরানোর জন্য, আমাদেরকে হত্যা করার জন্য।
কাদের মির্জা বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সকল উন্নয়ন সম্পন্ন করেছেন। গরীবের জন্য ৭০হাজার ঘর নির্মাণ করেছেন। যাহা পৃথিবীর ইতিহাসে নজির বিহীন। ছিট মহল বাসীকে আসন ঠিকানা গড়ে দিয়েছেন, তারা নিজস্ব ঠিকানায় বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বাপকা বেটি।
দুর্নীতিবাজ বেলায়েতের নির্দেশে ডিসি, এসপি, ডিবির ওসি, এএসপি শামীম, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, কবিরহাট থানার ওসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড ডিসির বাসায় গোপন বৈঠক করেছে। গোপন বৈঠকে ওবায়দুল কাদেরের বিপক্ষে যত মিছিল মিটিং হবে তারা শেল্টার দিবে। এর বিপরীতে ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে মিছিল মিটিং হলে ডিসি এসপি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবে। কোম্পানীগঞ্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুর্নীতিবাজ এএসপি শামীম কবির ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রনিকে। এখানকার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবাসায়ী, ভূমিদস্যু ও কুলাঙ্গার ফখরুল ইসলাম রাহাতকে (ভাগিনা)। নিজাম হাজারী বাদলকে বলেছে তোমরা কোম্পানীগঞ্জে আন্দোলন শুরু করবা। আর আমি ফুলগাজী, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় ওবায়দুল কাদের ও আবদুল কাদের মির্জার মির্জার বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করব।