মাদক ভাগাভাগি নিয়ে নীলফামারীর ডোমারের মাদ্রক সম্রাট মিজানুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। চতুর্থ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ডোমার থানা পুলিশ। ফ্যানের তার গলায় পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে মাদক সেবী আবু তালেব (৫৫) ও আরেক মাদকসেবী আবদুস ছালাম ওরফে পিনকোড বাবু (৩৫)। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ডোমার থানা পুলিশ প্রেস রিলিসের মাধ্যমে ঘটনাটির বর্ণনা করে। তারা সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রেস রিলিস সুত্রে জানা গেছে, ২১ এপ্রিল বুধবার নিজ বাড়ীতে মাদক সম্রাট মিজানুর রহমানকে হত্যা করা হয়। ওই দিন রাতেই ডোমার পৌর সভার গোডাউন পাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে আবু তালেবকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকালে কাজিপাড়া হতে রশিদুল ইসলাম ছানুর ছেলে আবদুস ছালাম ওরফে পিনকোড বাবুকে তার বাড়ী থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে পিনকোড বাবু একসময় মিজানুর রহমানকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানায়, মিজানুরের কাছে হেরোইন চাইলে তাদের হেরোইন না দিয়ে মিজানুর চেয়ারে বসে ইয়াবা সেবন করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিনকোড বাবু মিজানুরের পা চেপে ধরে আর চেয়ারের পার্শ্বে থাকা স্ট্যান্ড ফ্যানের তার গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে আবু তালেব। ওই সময় মিজানুরের বাড়িতে কেউ না থাকায় তারা দুই জনেই বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ডোমার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, মোবাইল ফোনের কল লিস্টের মাধ্যমে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসা করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার বিষয়টি স্বীকার করলে, তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২২এপ্রিল (বৃহষ্পতিবার) মিজানুর রহমানের মেয়ে মেঘলা মনি বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাদক স¤্রাট মিজানুরের নামে ডোমার থানায় ১৬টি মাদক মামলা রয়েছে এবং তার স্ত্রী সহিদা বেগম রুপার বিরুদ্ধে ২০ মাদক মামলা চলমান রয়েছে।