ফরিদপুরের মধুখালীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যার ওপর হামলা করে গুরুত্ব আহত করেছে এলাকার টোপবাজ ও সন্ত্রাসী শাহিন। এ ব্যাপারে মধুখালী থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। প্রধান হামলাকারী শাহিনকে মধুখালী থানা পুলিশ আটক করেছে। মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মধুখালী থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায় উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যার শারিরীক প্রতিবন্ধি ছেলে মো. খোকন মোল্যা(৪০) এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসী শাহিন নিয়মিত বাকী ও নগদে পন্য ক্রয় করতেন। ২৬ এপ্রিল সোমবার বিকেলে শাহিনের কাছে বাকীর টাকা চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে দোকানের মালামাল ভাংচুর করে। প্রতিবন্ধি ছেলের দোকান ভাংচুরের সংবাদ জানতে পেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহিনেররে বাড়ীতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তেজিত হয়ে অমানুষিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করে আহত করে। মুক্তিযোদ্ধার আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে তাদেরও জোট বদ্ধ হয়ে মারধর করে সন্ত্রাসী শাহিন ও তার সহযোগিরা। বীরমুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধু রহিমা এগিয়ে গেলে তাকে শ্লীলতাহানী করে এবং স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং শারিরীক জখম করে। আহত মুক্তিযোদ্ধাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মধুখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমান তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যা বাদী হয়ে রাতেই মধুখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মধুখালী থানা পুলিশ রাতেই ঘটানার প্রধান অভিযুক্ত আসামি টোপ শাহিনকে মধুখালী সদর হাসপাতাল থেকে আটক করে। শাহিনের সহযোগিরা হলো মুন্সী শেখ, রিবা বেগমা, মোঃ হৃদয় শেখ, অন্তর শেখ, নবেলা বেগমসহ প্রমুখ।
মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যাকে হাসপাতালে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা মনোয়ার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মুরাদুজ্জামান মুরাদ, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ খুরশিদ আলমসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলামের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত প্রধান আসামি টোপ শাহিনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, জাকির হোসেন মোল্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান শূন্য থেকে টোপের মাধ্যমে প্রতারনা করে আজ সে আলীসান বাড়ী থেকে কোটিকোটি টাকার মালিক। যে কারণে টাকার গড়মে কোন কিছুই পরোয়া করেন না। প্রশাসনের কাছে আমি টোপ শাহিনের সম্পদের হিসাব ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।