শেরপুরে মানব পাচার মামলায় পালিয়ে থাকা এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম আবদুর রহমান লিটন ওরফে কাচামল (৫০)। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাত দুইটার সময় পাশর্^বর্তী জামালপুর জেলা শহরের শরীফপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার লিটন ওই এলাকার মৃত আফসার আলী ব্যাপারীর ছেলে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে গ্রেফতার লিটনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সদর থানায় গত ৯ মার্চ মানব পাচার মামলায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে দুইজন আসামি গ্রেফতার হলেও আবদুর রহমান লিটন পলাতক ছিলো।
জানা যায়, সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউপির মাঝপাড়া গ্রামের রুহুল আমিন ওরফে ভূট্টো (৫০) ও তার স্ত্রী কল্পনা আক্তার (৩৮) শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকার স্থানীয় ওমর ফারুকের বাসা ভাড়া নিয়ে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে সুন্দরী নারী এনে পাচার এবং তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করিয়ে আসছিল। গত ৮ মার্চ আবদুর রহমান লিটন ওরফে কাচামল গাজীপুর জেলার মাজুখান গ্রামের আছমা আক্তার ওরফে বৃষ্টি (৩৩) নামে এক যুবতীকে ফুসলিয়ে এনে রুহুল আমিনের খরমপুর মহল্লার ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। পরে রুহুলের স্ত্রী কল্পনা ভিকটিম আছমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে রাতে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর চেষ্টা করে। এ সময় আছমা কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি বাড়ি মালিক টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই সাইদুর রহমান ও তাহেরুল ইসলাম ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আছমাকে উদ্ধার করে। আর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী কল্পনাকে আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লিটন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরীর দিক নির্দেশনা ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়ার সার্বিক তত্বাবধানে গোয়েন্দা শাখার ওসি মনসুর আহাম্মদ, উপপরিদর্শক আজিজুল হাসান, মঞ্জুরুল হক, মোফাখখের ও সঙ্গীয় ফোর্সের সদস্যরা জামালপুরের শরীফপুরে সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালায়। এ সময় মানব পাচার মামলার অন্যতম আসামি আবদুর রহমান লিটন ওরফে কাচামলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।