ওষুধের দোকানের দ্বিতীয় তলায় নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ব্যবসায়ীকে আপক করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিবাগত রাতে এক যুবলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বিল্বগ্রাম বাজারের।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা, সাগর সরদার, নাজমুল সরদারসহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, গত বুধবার সন্ধ্যার পর তারা বিল্বগ্রাম বাজারের নেছারিয়া ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতে যায়। এ সময় ফার্মেসীর মধ্যে কেউ না থাকায় তারা ফার্মেসী থেকে বের হওয়ার সময় ফার্মেসীর দ্বিতীয় তলায় লোকজনের শব্দ পায়। পরে তারা সেখানে গিয়ে ফার্মেসীর মালিক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক হাবিবুর রহমানের পুত্র নেছার উদ্দিনকে নারীসহ উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি বাজারের ব্যবসায়ীদের জানিয়ে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
ওই বাজারের ব্যবসায়ী মশিউর রহমান ঝন্টুসহ একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকজন যুবক বিষয়টি তাদেরকে (বাজারের ব্যবসায়ীদের) জানালে তারা সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে বাজারে বসেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। ব্যবসায়ী ঝন্টু আরও জানান, ফার্মেসী মালিক হাবিবুর রহমানের পুত্র নেছার উদ্দিন তার অপরাধকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য ওই নারীকে দিয়ে বর্তমানে এলাকার নিরীহ যুবকদের ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা সুজিত দাস অভিযোগ করে বলেন, হাবিবুর রহমানের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সোহেল সরদার, কাওছার, রায়হান ও জাহিদ নামের চার যুবক সোমবার রাতে বিল্বগ্রাম বাজারে বসে এঘটনার জেরধরে তার (সুজিত) উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা সুজিত দাস পল্লী চিকিৎসক হাবিবুর রহমানের পুত্র অভিযুক্ত নেছার উদ্দিনের পক্ষালম্বন করে চার যুবককে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটকের বিষয়টি অস্বীকার করার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করে। এনিয়ে বাগ্বিতন্ডার জেরধরে হামলার ঘটনা ঘটে।