সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব নিয়ে সময় টিভির অনলাইন ভার্সনে একটি সংবাদে বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র সাবেক এ.পি.এস, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন।
জণাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিপক চৌধুরী বাপ্পী সাহেব আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন এর জন্য নিশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং ওই বক্তব্য যে মিথ্যা তা সময় টিভিতে আবারও প্রচার করতে হবে। নতুবা তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের আগে কসবা উপজেলার বাদৈর এলাকায় একটি মাহফিলের হেফাজত নেতা মামুনুল হক আলোচক ছিলেন। ওই মাহফিলে তাঁর অনুমতি ছাড়াই তাকে প্রধান অতিথি হিসাবে পোষ্টার ছাপানো হয়। ওই পোস্টার করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এবং উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে মাহফিলটি বাতিল করে মঞ্চ ভেঙে দিয়েছিলেন। পরে হেফাজত নেতা মামুনুল হক গোপনে এসে পাশ^বর্তী শ্যামবাড়ি গ্রামে জৈনক মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমীর বাড়ির উঠানে আলোচনা করেন।
কিন্তু সময় টিভিতে গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিপক চৌধুরী বাপ্পী একটি বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের আগে আইন মন্ত্রীর এলাকায় মাহফিল করেছেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এর সাবেক এ.পি.এস, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া।
তিনি বলেন, মাহফিল হয়নি, মঞ্চও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত তান্ডবের সময় কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায় প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের। চেয়ারম্যান আরো বলেন, ওই দিন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সার্বক্ষনিক খোজঁ খবর নিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কসবা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আবু জাহের, বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু জামাল খান, কসবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক পলাশ প্রমুখ।