সিরাজদিখানে চাঁদাবাজির দাবীতে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
কয়রাখোলা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে বরকত উল্লাহ (২৮) জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বরামকৃষ্ণদী গ্রামে তার একটি ড্রাম ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। পুর্ব রামকৃষ্ণদী গ্রামের মৃত ইবনে ছউদ (লক্ষন) এর ছেলে জহিরের নির্দেশে তার ভতিজা আমির হোসেনের ছেলে এছহাকের নেতৃত্বে মুরাদ, লিটন, মুসাসহ আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জন হামলা করে ট্রাক ভাঙচুর করে। তিনি আরো জানান জহিরদের কাছ থেকে তার ইটের ভাটায় উচ্চ মুল্যে মাটি কিনে না নেওয়ায় চাপ দেয়। মাটি না নেওয়ায় তারা তার কাছে বছরে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এর আগে চলতি মাসের ১৫ তারিখে তার ড্রাম ট্রাক আরেকবার ভেঙ্গেছিল। তখন তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার আবার তার গাড়ি ভাঙ্গে। থানায় অবগত করায় এস আই রাজু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। বরকত আরো জানান তিনি থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিবেন।
এ বিষয়ে জহিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গাড়ি ভাঙচুর এমন কোন কিছু আমার জানা নাই। আর আমি বা আমার ভাতিজা কেউ এ কাজ করে নাই। এটা একটা সাজানো নাটক। কারন তারা আমাদের ১২ বিঘা জমি কয়রাখোলা গ্রামে তাদের বাড়ি সংলগ্ন হওয়ায় দখল করে রেখেছে। সেজন্য নানা অজুহাতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। জমি নিয়ে তারা আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। ৪/৫ বার থানায় বসা হয়েছে, কোন সুস্থ সমাধান হয় নাই।
এ বিষষে প্রত্যক্ষদর্শী অটো চালক আলী হোসেন জানান, তখন দুপুর প্রায় ২ টা পূর্বরামকৃষ্ণদী গ্রামের খিদিরপুর রাস্তায় একটি মাহেন্দ্রা দিয়ে বেরিকেট দেয়। এরপর কয়েকজন দৌড়ে এসে ভাঙচুর করে।
গাড়ি চালক রুবেল জানান, দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে পুর্ব রামকৃষ্ণদী গ্রামের খিদিরপুর-গোডাউন বাজার রাস্তায় একটি মাহেন্দ্রা দিয়ে রাস্তা আটকে দেয়। এরপর গাড়ি থামালে ৩ জন লোক পাশ থেকে এসে গাড়ির সামনের গ্লাসে ইট মারে ও লাঠি দিয়ে লুকিং গ্লাস ভাঙে। এ সময় সামনের গ্লাসের কাঁচ ভেঙে আমার পায়ে লাগে ও হেলাপারের গালে একটি ছোট কাঁচ ঢুকে যায়। আমরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি। ঐ সময় আমরা সিমেন্ট নিয়ে মালিকের বাড়ি যাচ্ছিলাম।
এলাকাবাসী অনেকে বলেন আমরা সাধারণ মানুষ তারা দুই পক্ষ প্রভাবশালী কোন কিছু বললে আবার বিপদে পরতে হবে। তারা দীর্ঘদিন ধরে লাগছে, তাদের বেপারে আমরা কিছু বলতে চাই না।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর অনিল জানান গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ এখনো (সন্ধ্যা ৬ টা) করে নাই। এ ব্যাপারে সরোজমিনে পরিদর্শণ করেছেন এস আই রাজু। তিনি বলেন আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি, এর বেশি আমি বলতে পাবো না। ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। সিরাজদিখান থানার ওসি বোরহান উদ্দিন কোন সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেন না বলে আরো সাংবাদিকরা জানান।