ফরিদপুরের মধুখালীর বাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখে আমরা বিমোহিত হই। উপজেলার পুরান মধুখালী পদ্মবাওর তেমনই ভালো লাগার আবেশ সৃষ্টি করে। বাওর ভ্রমণে মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়। এখানে জলজফুলের রানী পদ্ম প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে মেলে ধরেছে আপনসৌন্দর্য। এতদিন অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল বাওরটি।চারদিকে শুধু পদ্ম আর পদ্ম। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এ পদ্ম দেখলে মন-প্রানজুড়িয়ে যায়। বাওর জুড়ে পদ্মফুলের এমন অপরূপ সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রেমিদের মনকে যেন নাড়া দেয়। কেউ বাওর পাড়ের গাছ তলায় বসে উপভোগ করছেন এ সৌন্দর্য। আবারঅনেকেই নৌকায় চড়ে পুরো বাওরটি ঘুরে দেখছেন। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধুই পদ্ম ফুল। এ দৃশ্য মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাষু ও প্রকৃতিপ্রেমিদের কাছে নতুন ঠিকানা ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মধুখালী, ঘোষকান্দি, বৈকন্ঠপুর, খোদাবাশপুর চার গ্রাম নিয়ে অবস্থিত পুরান মধুখালী বাওর। বাওরে ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ মনে পড়তে পারে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কেউ কথা রাখেনি কবিতাটি মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলি বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর/তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাব/সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে। পড়ন্ত বিকেলে ফুলের সঙ্গে সূর্য আপনার মনের কাব্যিকতা বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। আশে পাশের মানুষজন প্রবল উৎসাহে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে ঘোরাবে। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ লোকমান সঙ্গে জানান, বাওরটিতে প্রচুর মাছ হয়। অনেকের জীবন জীবিকা নির্ভর করে এর উপর। কিন্তু এখন ফুল ফোটার পর থেকে বাওরটি ধীরে ধীরে আরও পরিচিত হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে পদ্মের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন বাওরে আসতে শুরু করেছে দর্শণার্থী। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যথাযথ প্রদক্ষেপ নিলে সৌন্দর্যও বিকশিত হয়ে উঠতে পারে পর্যটনের অন্যতম স্থান। বিল ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, বাওরটিতে পদ্ম ফুলের কথা শুনে ঘুরতে এসেছি। অনেক সুন্দর একটি জায়গা। অনেক পদ্মফুল। পৌরশহরের নিকটে এত সুন্দর একটা জায়গা আছে, না এলে বুঝতে পারতাম না। মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা মনোয়ার বলেন, পুরান মধুখালী বাওর মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে সর রকমের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাওরের সৌন্দর্য রক্ষায় দর্শনার্থীদের বিল ভ্রমণ সহজ ও সুন্দর করতে প্রশাসন সচেস্ট থাকবে।