গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনমালা শান্তিবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন-এইচএম মেহের (৫০) ও তার ছেলে জগলুল হায়দার (২১)। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি-টঙ্গী) পিযুষ দেসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার সাব্বির ওরফে কেবিডিকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দত্তপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা সজল সরকারের নেতৃত্বে সাব্বির ওরফে কেবিডি, আলি, শৈশব, লালু, রহমত, আক্তার, মিশুসহ ২৫-৩০ জনের একদল কিশোর ও যুবক ধারালো অস্ত্রসহ শান্তিবাগ এলাকার এইচ এম মেহেরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহত এইচএম মেহের জানান, বুধবার রাতে আমার ছেলে জগলুলকে মুঠোফোনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় রহমত নামে এক কিশোর। পরে তারা আমার ছেলেকে বনমালা রেলক্রসিং এলাকায় নিয়ে চাপাতির উল্টোপিঠ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রেললাইনে ফেলে যায়। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় এসে ফেসবুকে রহতের নাম উল্লেখ করে একটি ষ্ট্যাটাস দেয় জগলুল। এর জের ধরে বিকেলে মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সাব্বির ওরফে কেবিডি ধারালো চাকু (সুইচ গিয়ার) নিয়ে বাসার সামনে এসে আমার ছেলের উপর ফের হামলা চালায়। স্থানীয়রা সাব্বিরকে সুইচ গিয়ারসহ আটক করে। খবর পেয়ে কিশোর গ্যাং গ্রুপের অন্য সদস্যরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। হামলার সময় তারা স্থানীয় দোকানদারদের এ বিষয়ে মুখ না খোলারও হুমকি দেয়।
এব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি-টঙ্গী) পিযুষ দে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।