শনিবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পৌর শহরের সিএনজির শ্রমিক সংগঠনের ২০০-২৫০ জন শ্রমিক রয়েছে। গত বছরের মার্চ হতে গত কাল শনিবার পর্যন্ত সিএনজির শ্রমিকরা যাত্রী না পেয়ে ষ্ট্যা-ে বসে যাত্রীর অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকেন। কেউ কেউ সমস্ত দিনে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা রোজগার করেন। ভাড়া সিএনজি চালিয়ে মালিকদের অর্থ পরিশোধ করে কোনো দিন খালি হাতে আবার কোনো দিন ১৫০ টাকা নিয়ে বাড়িতে যান। তাদের সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রায় শ্রমিকেরই বিভিন্ন সমিতির টাকা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনা কালীণ করাল গ্রাসে তাদের জীবন যেন ছিন্ন বিন্ন হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কাল শনিবার বাজিতপুর পৌর সিএনজির শ্রমিক বা ড্রাইভার মোঃ জীবন মিয়া, ফুল মিয়া, মোঃ জিল্লুর রহমান, কাশেম মিয়া, মোঃ বাছির মিয়া, মোঃ ছেনু মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, কোনো সামাজিক সংগঠন, সরকারী ভাবে অনেক প্রণোদনা এসেছে কিন্তু তারা এই ১৪ মাসে ও কোনো প্রণোদনা পাননি। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর করোনাকালীণ সময়ে শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ হতে ২০০ থেকে ২৫০ জন শ্রমিকের সরকারী ভাবে প্রণোদনার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সহ বিভিন্ন কাগজপত্র সরকারী দপ্তরে নিয়ে গেলেও আদৌ পর্যন্ত কোনো শ্রমিক প্রণোদনা পাননি বলে জানান। তারা আরও বলেন, বর্তমানে তাদের জীবন চলছে মরার উপর খারার গার মতো। বাজিতপুর সিএনজির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মোঃ মিলন মিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে শ্রমিকদের জীবন ছন্ন ছাড়া হয়ে আছে। অনেক শ্রমিক বেকার দিন কাটাচ্ছে। সংসার জীবনে তাদের দিন কাটছে দূর্বিসহ। তাদের আকুল আবেদন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নের বিষয়টি দেখবেন বলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস।