দুইটি পৃথক অভিযানে জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন টোলপ্লাাজা এলাকা থেকে ৪২.৫ (বিয়াল্লিশ কেজি পাঁচশত গ্রাম) কেজি গাঁজা, ০১ টি পিকআপ, মাদক বিক্রয়ের নগদ-৮০০০/-টাকা‘সহ ০৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।
র্যাব-১৪ কর্তৃক শুক্রবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যাব-১৪ সূত্রে প্রকাশ,৩০ এপ্রিল ২০২১ তারিখ সকাল ০৮.৩০ টায র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার অনুমান ২৫০ গজ পূর্ব দিকে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী আবদুল রোজেক(২২), পিতা-মোঃ তারা মিয়া, মোঃ হামিদুর (২৮), পিতা-মৃত জবেদ আলী, উভয়গ্রাম-চরহরিপুর, থানা ও জেলা-ময়মনসিংহ, মোঃ তোতা মিয়া (২২), পিতা-মোঃ লাল মিয়া, গ্রাম-বারুয়ামারি, থানা-গৌরিপুর, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করেন। এ সময় ধৃত আসামীদের নিকট হতে ১৬ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ০১ টি পিকআপ, মাদক বিক্রয়ের নগদ-২৫০০/- টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে এবং একইদিন সকাল ০৯.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার অনুমান ২০০ গজ পূর্ব দিকে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ নুর উদ্দিন (২০) পিতা-মোঃ কালন ব্যাপারি, গ্রাম-গোলখার, থানা-আখাউড়া, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া(৩২), পিতা-হাবিব মিয়া, গ্রাম-শানখোলা, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ, জালাল মিয়া (৩২), পিতা-মৃত ফুল মিয়া, গ্রাম-আব্দুল্লাহপুর, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ, মোঃ এনামুল মিয়া (১৯), পিতা-নিজাম মিয়া, গ্রাম-জগন্নাথপুর, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মোঃ সোহেল (২০), পিতা-মোঃ তোতা মিয়া শিকদার, গ্রাম-দেওয়ানকান্দি, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুরকে গ্রেফতার করেন। এ সময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ২৬.৫ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, মাদক বিক্রয়ের নগদ-৫৫০০/- টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মোট গাঁজার পরিমান ৪২.৫ কেজি, ০১ টি পিকআপ, মাদক বিক্রয়ের নগদ-৮০০০/-টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে গাঁজা দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসত। তারা বর্ণিত গাঁজার চালান রাজধানীর জনৈক ব্যক্তির নিকট বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল বলে ধৃত আসামিরা স্বীকার করে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।