কুড়িগ্রামে মাদক সম্রাট, তার দোসরদের ও বহিরাগতদের দিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগীয় যুবদলের টিমের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের যুবদল নেতা কর্মী ও স্থানীয় বিএনপি।
শনিবার দুপুরে ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের একটি কক্ষে সম্মেলন করে কুড়িগ্রাম থেকে অনুমোদিত ফুলবাড়ী উপজেলা যুবদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট্য আহ্বায়ক কমিটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে তা বাতিল ও অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন তৃণমূল যুবদলের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবদলের ত্যাগী নেতা ও বির্তকিত আহ্বায়ক কমিটির দ্বিতীয় ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বির্তকিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম রুবেল, যুবদল নেতা রোকুনুজ্জামান লাকু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজির হোসেন, সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সাধারন সম্পাদক মশিয়ার রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বিষ্ণু চন্দ্র সেনসহ উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা যুবদলের ত্যাগী নেতা ও বির্তকিত আহ্বায়ক কমিটির দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, গত ২৮/৪/২০২১ খ্রিঃ বুধবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির ও সাধারন সম্পাদক নাদিম আহমেদ স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট্য ফুলবাড়ী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আবদুল খালেক নামের একজনকে। যিনি রাজনীতিতে নিস্ক্রীয়। এই কমিটিতে চিহিৃত মাদক সম্রাট ও তার দোসরদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া যুবদলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের মদতপুষ্ট, অযোগ্য, অর্থব,অযোগ্যদের দিয়ে বির্তকিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরিফুল ইসলাম আরিফ আরও বলেন, এই বির্তকিত আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে ১ নং যুগ্ম আহাবায়ক করা হয়েছে। আমি এই বিতর্কিত কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলাম। পাশাপাশি এই বিতর্কিত কমিটি অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।
যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আমি অবিলম্বে ফুলবাড়ী উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি বাতিল ও ত্যাগী প্রকৃত যুবদল নেতাদের দিয়ে পূণরায় ফুলবাড়ী উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় যুবদল ও জেলা যুবদলের কাছে দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আগামীতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে এর জবাব দেয়া হবে।
এদিকে ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, তৃণমূলের যুবদলকে শক্তিশালী করতে যুবদলের ত্যাগী স্বচ্ছ নেতা যাচাই বাছাইয়ে কেন্দ্রীয় যুবদল থেকে রংপুর বিভাগীয় একটি টিম ৮/১/২০২১ খ্রি ঃ কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়।
যার নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল। এই টিম উপজেলা বিএনপির সভাপাতি, সম্পাদক ও যুবদলের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন নি। এটি একটি অনিয়মের বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি নেতারা বলেন, যুবদলের বিভাগীয় টিম যদি উপজেলা বিএনপির সভাপাতি, সম্পাদক ও যুবদলের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেন তাহলে প্রকৃত যোগ্য যুবদল নেতা কর্মীদের নিয়েই আহ্বায়ক কমিটি গঠন সম্ভব হতো।
আজ মাদক সম্রাট তার দোসরদের ও বহিরাগতদের দিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠতোনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলে মাদক সম্রাট তার দোসরদের ও বহিরাগতদের স্থান হতোনা।
এ সময় বিএনপির নেতারা এই বিতর্কিত ফুলবাড়ী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও প্রকৃত যুবদল নেতাদের নিয়ে পূণরায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের দাবি জানান।