মিষ্টি শিমুল আলু বা শিমলা আলু পাহাড়ী বনাঞ্চলের একটি পরিচিত নাম। বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে কমে যাচ্ছে শিমুল আলুর উৎপাদন। যথাযথ পরিচর্যা, উৎপাদন না হওয়া ও বাজার মূল্য না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে এই পুষ্টিগুন সম্পন্ন সুস্বাদু শিমুল আলু। তবে এটির বাজার মূল্যও তেমন না হওয়ায় কৃষকরা এটির দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এটি এখনও শেরপুরের পাহাড়ী সীমান্তবর্তী উপজেলা নালিতাবাড়ীতে পাওয়া যায়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতিতে ফসল উৎপাদনের সময় হতেই মাটির নিচে উৎপাদিত এই কাঁচা মিষ্টি সুস্বাদু শিমুল আলু বছরের কয়েক মাস বেশ উৎপাদন হত। বর্ষা কালেই এর পুর্নাঙ্গতা প্রকাশ পায়। উৎপাদনের স্থান ছিল পাহাড়ী উঁচু নিঁচু টিলা, বাড়ী ঘরের ঝোপঝাড়, পানির কাছাকাছি উঁচু নিঁচু ঢালু জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে এটি উৎপাদন হত। যারা এটি বেশি উৎপাদন করতো তারা এই পাহাড়ী জনপদের আদিবাসী জনসম্প্রদায়। আর সেই থেকে কিছু কৃষকরা গ্রামের বাজার গুলোতে বিক্রির জন্য নিয়ে আসতো এবং মানুষ তা কেজি দরে ক্রয় করে খেতে পারতো। এখনো চিবিয়ে খাওয়া এই ফলটির বেশ কদর রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, মাটির নিচে হলেও এটিকে সবজি বলা যায় না। কারণ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ার এটি কে ফল হিসাবেই মানুষ গ্রহন করেছেন।
পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আদিবাসী বন্দনা চাম্বু গং বলেন, এই মিষ্টি কাঁচা সুস্বাদু শিমুল আলু আমাদের প্রিয় একটি খাবার। বড় একটি শিমুল আলু খেলে পেট ভরে যায়। বিশেষ করে পাহাড়ী বনাঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। আমরা সেখান থেকে এগুলি সংগ্রহ করি। আর এটির দিকে বন্য প্রানীদের আর্কষন আরো বেশি। বিশেষ করে বন্যহাতি, বন্য শূকর মাটি খুড়ে তুলে খেয়ে ফেলে। এগুলি আমরা অনেকগুলি আদিবাসী পরিবার মিলে পাহাড়ী ঢাল হতে সংগ্রহ করি এবং পরিবারের জন্য বাড়িতে আসি। সবাই তা খেতে পছন্দ করে। তবে এটির উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থা ভাল হলে পার্শ¦ খাবার হিসাবে ও পুষ্টিগুন হিসাবেও বেশ চাহিদা পূরন হবে।