কসবা উপজেলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বায়েক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (২ মে) দুপুরে তাঁর নিজ গ্রাম বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা গ্রামে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন ভূইয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরন্নবী আজমল তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে কুৎসা রটাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বায়েক ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান থাকাকালীন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কিন্তু আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মাঠে তিনিসহ তাঁর সমর্থকরা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই নির্বাচনী প্রচারনাকে কেন্দ্র করেন তাঁর প্রতিপক্ষ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আল-মামুন ভূইয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরন্নবী আজমল তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে ভূমিদুস্যু আখ্যা দিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন। প্রকৃত পক্ষে তিনি কোন জায়গার মালিক নন। তার বাবা ফজলু মিয়া ও মা ছালেহা বেগম বায়েক ইউনিয়নের বালিয়াহুড়া মৌজার সাবেক ২০৪ দাগ, হালে ২ দাগে ৪৫ শতাংশ ভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত পায়। সেই হিসাবে ১৯৯৩ সালের ৩১ জানুয়ারি তাঁর বাবা ও মায়ের নামে সরকার একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়া দেয়। বিএস খতিয়ান সরকারি নামে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় ২০১৪ সানে ৩০৭ নং মোকদ্দমার মাধ্যমে বিএস সংশোধন করে তার বাবা মায়ের নামে ২০৬ নং খারিজ করেন। ওই জমি রেলওয়ে কতৃপক্ষ তাঁর বাবা ও মায়ের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করছেন।
তিনি বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরণের কুৎসা রটাচ্ছেন। এ সকল বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিবেন।
তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলাও দিয়েছেন। তিনি এ সকল মিথ্যা মামলা ও হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদৌস ভূইয়া, মফিজ মাস্টার, শাখাওয়াত হোসেন, হেলাল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।